আজ সোমবার | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি | বিকাল ৩:১৭

শিরোনাম :

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসিসহ দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত শিল্পখাতকে আরো পরিবেশবান্ধব করতে চাই,শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বানাতে চান মোদিজি ,ভারতের অবস্থা আজ শোচনীয়: অরবিন্দ কেজরিওয়াল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ একজনকে আটক রিজার্ভ নিয়ে তিন হিসাব, চাপ বাড়ছে:রিজার্ভের পতন কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক! র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ তারেক হোসেন পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত দুবাইয়ে ৫৩২ জন বাংলাদেশির বাড়ি-ফ্ল্যাট:দুবাইয়ে আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড়! যারা একবেলা ভাত খেতে পারতো না, তারা চারবেলা খায়:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আদর্শ মানুষ ও জাতি গঠনে সুশিক্ষা

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ
।। ওসমান গনি।।দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার গুনগত মান ও মানসম্মত শিক্ষা একান্ত দরকার। শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো খুবই জরুরি।  দেশের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পাসের হার প্রতি বছর বাড়লেও শিক্ষার্থীর মেধা সঠিকভাবে বিকশিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দেশের ও সমাজের অনেকেরই। বিদ্যমান শিক্ষা ব্যাবস্থায় ছাত্র /ছাত্রী ও অভিভাবক মহলের মধ্যে একটি বিষয় সবচেয়ে বেশী পরিলক্ষিত হয় তাহলো জিপিএ -৫। ছাত্র/ ছাত্রী ও অভিভাবক মহলের দাবী একটাই যেকোন মূল্যে চাই পরীক্ষায় জিপিএ-৫। তাদের ধারণাটা এমনই য়ে, পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া মানে মহাকাশ জয় করা। আসলে ধারণাটা এমন হওয়া উচিত না। আপনাকে আমাকে একটি স্মরণ রাখতে হবে যে, ছেলেমেয়েরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে কিনা। তাদের মেধা বা প্রতিভা সঠিকভাবে বিকশিত হচ্ছে কিনা? প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত বা প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে না পারলে শুধু জিপিএ-৫ দিয়ে কিছুই  হবে না। লোক দেখানো জিপিএ-৫ শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে  বেরিয়ে আসতে না পারলে দেশ ও জাতি একদিন গভীর সামাজিক সংকটের মুখে পড়তে পারে বা পড়বে। তাই জিপিএ-৫ মন থেকে ঝেড়ে ফেলার ব্যাবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কে যুগোপযোগী প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলতে হবে। শিক্ষার্থীর ও অভিভাবকদের  মন থেকে জিপিএ-৫ নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
 শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলি গড়ে তুলতে পরিবারকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ পরিবারেই এসবের বীজ প্রোথিত হয়। এছাড়া সামাজিক পরিবেশ দেখে শিশুরা অনেক কিছু শেখে। এজন্য সমাজকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। সামাজিক কৃষ্টি-কালচার, রীতি-নীতিও শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলে। তাই প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার সকল স্তরে নিয়মিত দেশের কৃষ্টি-কালচারবিষয়ক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে একটি শক্ত ভিত গড়ে উঠবে। ফলে তারা বিপথগামী হওয়া থেকে বিরত থাকবে। সেই সঙ্গে তাদের মননশীলতার বিকাশ ঘটবে। এছাড়া মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ধর্মীয় জ্ঞান বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। ধর্মের প্রকৃত পাঠই শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। এক্ষেত্রে ধর্মের অপব্যাখা দিয়ে কেউ যাতে শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালিত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির বিকাশের বিষয়টি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের ত্রিভুজ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের একটি ‘বৃক্ষ’ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়, যার সুন্দর ও যথাযথভাবে বেড়ে উঠা নির্ভর করে পরিচর্যার ওপর। পরিচর্যা যেমন হবে তার বেড়ে উঠাও তেমন হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সুন্দরভাবে বিকাশের বিষয়টি তাদের যথাযথভাবে দেখাশোনা এবং পরিচর্যার ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষার উদ্দেশ্য হতে হবে কোন চাকরির জন্য নয়। উদ্দেশ্য হওয়া চাই আদর্শ মানুষের মতো মানুষ হওয়া। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ হতে পারলে তার কর্ম ও ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল হবে। তখন কর্ম বা চাকরি তাকে খোঁজবে। তাই শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তার নৈতিক ও মানবিক দিকগুলোর প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের নানামুখী সামাজিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে হবে।
আমাদের একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, শুধু পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে মানবিক গুণাবলির বিকাশ ততটা হয় না। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থা। শিক্ষার্থীরা তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকেই মূলত নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির শিক্ষা পায়। পরিবারের ভূমিকা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে। আর নৈতিক গুণাবলির বিকাশের ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের চারপাশটা কেমন তা গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল সমাজে নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রভাব খুব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেহেতু নৈতিক গুণাবলির বিকাশ ঘটে মূলত পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে তাই এক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবাইকে সমভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। বস্তুত এই সুশিক্ষা শব্দটির মধ্যেই সব প্রশ্ন ও প্রশ্নের উত্তর সন্নিবেশিত থাকছে। আমরা নৈতিক শিক্ষার কথাই বলি বা মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষার কথাই বলি সবকিছুর একটা সহজ সরল মেলবন্ধন হবে সুশিক্ষা।
বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট নৈতিক এবং মানবিক শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরেকবার ভাবতে বাধ্য করেছে। শুধু শিক্ষা নয়, চাই সুশিক্ষা। যে শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীর নৈতিক মানদণ্ডকে উন্নত করার পাশাপাশি তার ভিতরকার মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখবে।   শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অভিভাবক সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে ক্লাসের শিক্ষা শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ও সৃজনশীল চিন্তার প্রসার ঘটাতে পারে।
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বা স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনা বাধাগ্রস্ত হয় এমন কিছু করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, জীবনের শুরুতে চিন্তা-চেতনার স্বাভাবিক ধারা বাধাগ্রস্ত হলে তা থেকে বৈপরীত্য জন্ম নেয়। এ ধরনের পন্থা কখনো আদর্শিক নয় বরং সাংঘর্ষিক হয়। সুতরাং সন্তানের কোমল চিন্তা-চেতনাকে লালন করতে হবে এবং এর বিকাশে আমাদের ভূমিকা হবে সার্বক্ষণিক সহায়ক। প্রতিটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো তার পরিবার। যেখানে বাবা, মা, পরিবার-পরিজনের প্রত্যেক সদস্যই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে। জীবনযাপনের দায়ে আমাদের সকাল শুরু হয় ব্যস্ততা দিয়ে আর রাত আসে ক্লান্তি নিয়ে তবুও সবকিছুর ডামাডোলে আপনার সন্তানকে কখনোই আড়াল করতে যাবেন না। অনেক সময় না হোক, অল্প সময় নিয়ে হলেও প্রত্যেকদিন সন্তানের খোঁজখবর রাখতে হবে অন্যথায় আপনার সব কষ্টার্জিত সফলতা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
অভিভাবক হিসেবে মাঝেমধ্যে আন্তরিকতা নিয়ে সন্তানের পাশে বসুন। শাসন,  চাওয়া পাওয়া বা অভাব অভিযোগ নয় বরং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলাপ করুন। সে কী চায়, কীভাবে চায়, কেন চায় তা জানার পাশাপাশি এর ধরন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করুন। ব্যাপক অর্থে সন্তানকে জানুন এবং তাকে জানান— মানুষের মতো মানুষ হওয়ার কথা, মূল্যবোধের কথা,  ইতিহাস ঐতিহ্য, শিল্পিত সংস্কৃতিবোধ এবং আমদের গর্ব মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা।   আলোয় ভরা ভবিষ্যৎ মানে আমাদের সন্তান। সমৃদ্ধ দেশ, সুন্দর বিশ্ব মানে আমাদের সন্তান। আসুন, সুন্দর মানবিক জীবন গড়তে আমরা সন্তানদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
প্রথমত পরিবার হচ্ছে এক্ষেত্রে প্রথম ও প্রারম্ভিক ক্ষেত্র। একটি শিশু তার জীবনের শুরুর দিকে পরিবার থেকেই জীবন চলার পথের শিক্ষা পেয়ে থাকে। পরিবারে মা-বাবা বা অভিভাবক এবং নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে তারা নৈতিক শিক্ষা পায়। তাই শিশুদের নৈতিকভাবে বিকশিত করতে হলে পরিবারের সদস্যদের এক্ষেত্রে নৈতিক গুণাবলি ধারণ করতে হবে। আর শিশুরা যখন বড় হতে থাকে তখন তারা সমাজ বা চারপাশ থেকে অনেক কিছু শিখে থাকে। তাই শিশুরা যে সমাজ বা পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বড় হচ্ছে সেখানেও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকতে হবে। এতে শিশুরা সুন্দর ও আদব-কায়দার সঙ্গে বেড়ে ওঠার দিক-নির্দেশনা পায়। শিশুদের মাঝে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির বিকাশের তৃতীয় ক্ষেত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানেই তারা পরিবার থেকে প্রাপ্ত নৈতিক শিক্ষার বিকাশের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলির শিক্ষা পেয়ে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানান পরিবারের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মেশার সুযোগ হয়। এ মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক বিষয় বুঝতে ও জানতে শিখে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেমেয়েরা কোনো বিষয়ে হয়তো বাবা-মা’র কথা শুনছে না। কিন্তু শিক্ষকের কথা শুনছে। তাই শিক্ষার্থীদের নৈতিক, সামাজিক ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে হলে প্রথমে শিক্ষকদের ভিতর এগুলো ধারণ করতে হবে। বাবা-মা’র পর ছেলেমেয়েরা শিক্ষকদেরই তাদের জীবন চলার পথের কাণ্ডারি বিবেচনা করে।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিমাণগত শিক্ষার লক্ষ্য পূর্ণ হলেও ঘাটতি রয়েছে গুণগত শিক্ষায়। কোমলমতি শিশুদের মননে শৈশব থেকেই জাগ্রত করতে হবে নৈতিকতাবোধ। এই শিক্ষা পরিবার থেকে শুরু হবে আর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিবেন শিক্ষকরা। পরিবারের সবাইকে ছেলেমেয়েদের বেড়ে উঠার দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন মা। শিশুরা যখন বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করবে তখন থেকে তারা পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে চলে আসবে। শিক্ষকরা তাদের অভিভাবক হিসেবে সততা, দায়িত্ববোধ, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা শিক্ষা দিবেন। তাদের শেখাতে হবে সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা, গুরুজনে কর নতি। বড়দের সম্মান করা অথবা ছোটদের স্নেহ করা এই মানবীয় দিকগুলো স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে তাদের পাঠ্যক্রমে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় শিক্ষিত করলে এই সমাজ, মানুষ, পৃথিবী নিয়ে তাদের কোনো সম্যক ধারণা থাকবে না। তাই তাদেরকে পাঠ্যবইয়ের বাইরে গল্পের বই, কবিতা, উপন্যাসের সঙ্গে পরিচিত করাতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার বড় দায়িত্ব শিক্ষকদের কাঁধে। কারণ তারা মানুষ গড়ার কারিগর। তবে এই প্রজন্মের কিছু শিক্ষকের মধ্যে দুর্নীতি, অসততা ঢুকে গেছে। কিন্তু তাই বলে পুরো শিক্ষক সমাজকে কালিমালেপন করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির ভালো-মন্দ ব্যবহার এবং প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে দিকনির্দেশনা দিতে হবে শিক্ষকদের। সর্বোপরি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে হবে শিক্ষার্থীদের মানসে। আর এটা কারও একার নয়, বরং সবার দায়িত্ব। সরকার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিবার এবং সমাজের মানুষকে একত্রিত হয়ে সমকালীন বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে হবে।
লেখক- সাংবাদিক ও কলামিস্ট
Email- ganipress@yahoo.com 
০১৮১৮-৯৩৬৯০৯
Please follow and like us:
error20
fb-share-icon
fb-share-icon20

লেখকের কলাম

আরও পড়ুন

গত ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

  • আর্কাইভ

    হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসিসহ দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত

    ফরিদগঞ্জে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির আজম রেজার গণসংযোগ অব্যাহত

    ফরিদগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনিরের তালা মার্কার পথসভা

    যেসব এলাকায় চুরি হয় সে এলাকার নৈশপ্রহরীদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে:ডিএমপি কমিশনার

    আইফোন চুরির অভিযোগে মোঃ রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ

    বিএনপি এখন জনগণের আস্থার স্থল : সালাম

    শিল্পখাতকে আরো পরিবেশবান্ধব করতে চাই,শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে, সে কারণে আবোল তাবল বলছে :মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

    ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এর জামিন নামঞ্জুর:গভীর উদ্বেগ প্রকাশ মির্জা ফখরুলসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির

     ৪৭ বোতল ফেনসিডিল সহ ০১ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া

    নড়াইলের আর এক আতঙ্কিত জনপদের নাম লোহাগড়া

    বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ

    ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

    ভারতকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বানাতে চান মোদিজি ,ভারতের অবস্থা আজ শোচনীয়: অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    শত শত মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে দাগনভূঁইয়ার কুয়েত প্রবাসী আবু জাফর রাসেলের পিতার জানাজা সম্পুন্ন( ভিডিও সহ)

    আশুলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

    চাঁদপুর সদরে সুমনের ঘোড়া মার্কাকে ঠেকাতে যত কুট কৌশল

    ফরিদগঞ্জে আনারশ প্রতীকের বিভিন্ন স্হানে গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ একজনকে আটক

    রিজার্ভ নিয়ে তিন হিসাব, চাপ বাড়ছে:রিজার্ভের পতন কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক!

    নড়াইলে চেয়ারম্যানকে গুলি করে মধুমতিতে পিস্তল ফেলেন, এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

    শিশু, কিশোর- কিশোরী ও নারীদের মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব

    র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

    কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ তারেক হোসেন

    পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

    ঋণখেলাপীদের তালিকা বিএনপির সময় বেশি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

    দুবাইয়ে ৫৩২ জন বাংলাদেশির বাড়ি-ফ্ল্যাট:দুবাইয়ে আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড়!

    যারা একবেলা ভাত খেতে পারতো না, তারা চারবেলা খায়:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    গুরুতর অসুস্থ ডাবলুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন আবদুস সালাম

    উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তৃতীয় ধাপেও ৫১ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

    • Dhaka, Bangladesh
      সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
      SalatTime
      Fajr3:50 AM
      Sunrise5:14 AM
      Zuhr11:55 AM
      Asr3:17 PM
      Magrib6:36 PM
      Isha8:00 PM
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুল হাসান বাবলু
    ই-মেইলঃ dk.kamrul@gmail.com
    ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও: মনির হোসেন
    ই-মেইলঃ fsgtcc@gmail.com
    copyright @ বাংলাদেশ দিনকাল / বিডি দিনকাল ( www.bddinkal.com )
    বিডি দিনকাল মাল্টি মিডিয়া (প্রা:) লিমিটেড প্রতিষ্ঠান।