চাঁদপুর:-ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুরে সাগরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পদ্মা-মেঘনার নামে। প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক কম, দামও কম। বরিশাল, ভোলা এবং সন্দ্বীপসহ সাগর উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশে পরিপূর্ণ এখন চাঁদপুর মাছঘাট ও এখানকার বিভিন্ন বাজার। অথচ বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন চাঁদপুর এসে লোকাল ইলিশ ভেবে কিনে প্রতারিত হচ্ছে। গত দু’দিন দুপুরে চাঁদপুর মাছঘাটে গিয়ে জানা যায়, সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিনই সাগর ও উপকূলীয় এলাকা থেকে ট্রলারবোঝাই ইলিশ আসছে। তিন-চারদিন ধরে বিপুল পরিমাণ ইলিশ মোকামিরা নিয়ে আসছেন। প্রতিদিন সকাল-বিকাল ইলিশ বোঝাই ট্রলার ভিড়ছে। আড়তদার, বেপারি? আর পাইকারি ক্রেতাদের ভিড়ে কর্মমুখর ঘাটটি।
বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাজী মালেক খন্দকার, মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, রোটারিয়ান আবদুল বারী জমাদার মানিক, শবে বরাত সরকার, বাবুল হাজী, মেজবাহ মাল, বড় সিরাজ চোকদার, ছোট সিরাজ চোকদার, ইকবাল বেপারিসহ অন্যরা ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় ও আড়তদারিতে ব্যস্ত। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় নেই অনেকের। ইলিশের স্তূপের কারণে পা রাখার জায়গা নেই। এসব ইলিশ হাতিয়া, পাথরঘাটা, দৌলতপুর, মনপুরা এলাকা থেকে আসছে বলে জানা যায়। এছাড়াও সড়ক পথে ট্রাক, মিনি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে ভোলা, হাতিয়া, চর আলেকজান্ডার, চর ফ্যাশন, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থেকেও ইলিশ আসছে। শ্রমিকরাও ঘাটে আসা ইলিশ টুকরিতে ভরে আড়তে তুলে বড় বড় স্তূপ করে সাজিয়ে রাখছেন, যা পাইকারদের হাতবদল হয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। এর মধ্যে হাতিয়ার ইলিশই বেশি।
অপরদিকে চাঁদপুরের নৌসীমানায় অর্থাৎ পদ্মা-মেঘনায় কালেভদ্রে যৎসামান্য যে ইলিশ পাওয়া যায় তার দাম আকাশচুম্বী। এ সুযোগ নিচ্ছে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী। সাগর ও উপকূল এলাকার লালচে ইলিশকে লবণ ও বরফ দিয়ে ঘসে সাদা, চকচকে করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা প্রকৃতপক্ষে রুপালি ইলিশের স্বাদ-গুণ না জানার কারণে প্রতারিত হচ্ছেন। চাঁদপুর শহর ও আশপাশের নতুনবাজার, পালবাজার, বিপণিবাগবাজার, ওয়ারলেসবাজার, মাছঘাটের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘাটে অধিকাংশ ইলিশের সাইজ ১ কেজির নিচে। লোকাল (পদ্মা-মেঘনা) এক কেজির ওপরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এগারোশ’ থেকে বারোশ’ টাকা, ৮-৯শ’ গ্রামের ইলিশ ৮০০-৯০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা। তবে সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের দাম অনেকটা কম। জেলা মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি রোটারিয়ান আবদুল বারী জমাদার মানিক জানান, চলতি মাসের শুরু থেকে সাগর ও উপকূলীয় এলাকার বিপুল পরিমাণ ইলিশ আসছে। দামও কিছুটা কম।
জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত বলেন, যেসব ব্যবসায়ী লবণ ও বরফ দিয়ে ইলিশকে সাদা-চকচক করছে, তারা আমাদের সমিতির সদস্য নয়। এরা মৌসুমি ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 3:50 AM |
Sunrise | 5:15 AM |
Zuhr | 11:55 AM |
Asr | 3:17 PM |
Magrib | 6:35 PM |
Isha | 8:00 PM |