এই সরকার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে:সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল (ভিডিও সহ পূর্ণ বক্তব্য)

প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২৩ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

সাদাফ আলী খান , বিশেষ প্রতিনিধি:-আজ ১ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে হটাৎ করে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন,আমরা সব সময় বলে এসেছি, এই সরকার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগ তার মধ্যে অন্যতম। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শুধুমাত্র সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধী দলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আমরা সর্বক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন প্রত্যক্ষ করছি। ইতোপূর্বে আমাদের দলীয় প্রধান, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, তাঁকে দীর্ঘ বছর ধরে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কতৃর্ক নজীরবিহীনভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। একজন বয়স্ক ও নারী হিসাবে আইনগতভাবে তাঁর জামিন প্রাপ্তির অধিকার থাকলেও সেই অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিগত ১৪ বৎসরে সারাদেশে মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষকে আসামী করা হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দানকারী তরুণ প্রজন্মের তরুণ নেতা বাংলাদেশের মানুষের আশা—ভরসার স্থল, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানসহ সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশকে পুনরায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালে ফিরিয়ে নেওয়া।

গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহে আমরা আশঙ্কা করছি যে, আমাদের প্রিয় নেতা, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সরকারী নীল নকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তবা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এই মামলা চলার মতো কোন আইনগত উপাদান নেই। কেননা জনাব তারেক রহমান সাহেবের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সনে জমা দেওয়া হয়েছিল তার পুরোপুরিভাবে আয়কর জমা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ডা. জোবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হচ্ছে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋউজ, উক্ত ঋউজ মামলা দায়েরের আগেই (২০০৫—২০০৬) অর্থ বৎসরের ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া হয়েছিল। জনাব তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান—এর বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে চলমান এই মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সাক্ষী নিয়ে আগামীকাল (২/৮/২০২৩) রায় প্রচারের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশে লক্ষ লক্ষ মামলার জট থাকলেও তাঁদের এই মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাত ৮টা—৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষী নেয়া হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচার কাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের উপর পুলিশ ও সরকার দলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
আমরা আশংকা করছি, সরকারী নীল নকশায় পরিচালিত এই তথাকথিত বিচার প্রক্রিয়ায় জনাব তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হতে পারে। অতীতে বেগম খালেদা জিয়াসহ আমাদের অনেক নেতাকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে। জনাব তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে একই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।

এত কিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করে। যদি অন্যায়ভাবে কোন কিছু করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সহ আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কয়েকজন নেতৃবৃন্দ ।

Please follow and like us:

M	T	W	T	F	S	S
		1	2	3	4	5
6	7	8	9	10	11	12
13	14	15	16	17	18	19
20	21	22	23	24	25	26
27	28	29	30	31

Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Salat	Time
Fajr	3:50 AM
Sunrise	5:14 AM
Zuhr	11:55 AM
Asr	3:17 PM
Magrib	6:36 PM
Isha	8:00 PM

শিরোনাম :

প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২৩ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

গত ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ