আজ সোমবার | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি | বিকাল ৫:৪৩
এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম থেকে : ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারলে নির্বাচনে জয়ী হওয়া নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম–১ মীরসরাই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীরসরায়ের সাবেক এ উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারো ফেভার চাই না। মীরসরাইয়ের মানুষ যাতে তার ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারে, সেজন্য আপনারা সহযোগিতা করবেন। আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচনী কাজে যারা নিয়োজিত আছেন, তারা যেন এটার জন্য যত্নবান থাকেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী যদি সোচ্চার থাকে তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। তিনি বলেন, মীরসরাই থেকে যিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, তিনি দেড় বছর আগে ঘোষণা দিয়েছেন এবার তিনি নির্বাচন করবেন না। তখন মীরসরাইবাসী আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এবার বোধহয় আমাদের গিয়াস মনোনয়ন পাবে। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে উনার ছেলেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীতার বিষয়টি ঘোষণা করেছেন। তখন থেকে মীরসরাইয়ের জনগণ আমাকে বারবার চাপ দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, নির্বাচন করবো। সে লক্ষ্যে তিনি ( ৩০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র ও দাখিল করেন।
সভায় গিয়াস উদ্দিন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন হেভিওয়েট নেতা, কিন্তু উনার সন্তান হেভিওয়েট নন। আমি আজ ৫০–৫২ বছর ধরে রাজনীতি করি, আমি নিজেকে হেভিওয়েট মনে করি না। আমি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন মাঠের কর্মী মনে করি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের সঙ্গে থাকার দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি–জামায়াতের আমলে মীরসরাইয়ে ২৯টি লাশ পড়েছে। আমি সবার লাশ কাঁধে নিয়েছি। ১৯৯১ সালে বিএনপির আমলে যেসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছে, তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে সেবা দিয়েছি। তখন থেকেই আমি প্রতিদিন মেডিকেলে যাই আমার এলাকার রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য। সবার সুখে দুঃখে পাশে থেকেছি। যার কারণে মীরসরাইয়ের মানুষ আমাকে বলে ‘মেডিকেল বন্ধু’।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা, জাহেদ ইকবাল চৌধুরী, রবিউল হোসেন রবি এবং নিজাম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, একসময় গিয়াস ছিলেন মোশারফের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু নানা কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তাদের এ দূরত্ব ঘিরে মীরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুটি বলয় তৈরি হয়।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 3:50 AM |
Sunrise | 5:14 AM |
Zuhr | 11:55 AM |
Asr | 3:17 PM |
Magrib | 6:36 PM |
Isha | 8:00 PM |