আজ সোমবার | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:২২
বিশেষ প্রতিনিধি কুয়েত :- আজ ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কুয়েতের ফৌজদারি আদালত বাংলাদেশের সাবেক এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলসহ শেখ মাজেন আল-জাররাহ এবং নওয়াফ আল-শালাহীর অর্থপাচার মামলার শুনানি আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।
কুয়েতের জাতীয় পত্রিকা আরব টাইমস এই তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশ করেছে ।এর আগে গত ৩০ জুলাই এই মামলার সর্বশেষ শুনানি হয় ।ওই দিন বিচারক মামলার শুনানি ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি রেখে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ।
উল্লেখ্য, ঘুষ ও ভিসা বাণিজ্যের দায়ে প্রথমে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলে এর বিপরীতে আপিল করেন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। আপিলে কুয়েতের আদালত অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। পাপুলের সহযোগী মুহাম্মদ রশিদ নামে একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া দু’জন কর্মকর্তার সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা হয়েছে।
পাপুলকে কুয়েতের পুলিশ আটক করেছে এমন খবর যখন দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তখন পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, যিনি নিজেও একজন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি, তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন- কুয়েতের সরকারি দপ্তর ও সিআইডি তাকে আলোচনার জন্য ডেকে নিয়েছে।
গত বছরের ৬ জুন ২০২০ রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকায় বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পাপুলকে। প্রথমে পাপুলের হাতে পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ আনে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে সে সময় দূতাবাস থেকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ঢাকায় চিঠি পাঠিয়ে জানান, পাপুলের বিষয়ে অভিযোগ সত্য নয়। কুয়েতির গণমাধ্যমে সঠিক তথ্য দেয়া হয়নি।
কুয়েতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ,দুতলায় প্রধান ও পাপুল তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে দুইজন সাংবাদিক ,সোসিয়াল মিডিয়ার কর্মী ও তিনজন ব্যবসায়ীকে কুয়েতেরসিআইডি দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয় ২০১৯ সালের শেষের দিকে ।এর পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় কুয়েত সহ বাংলাদেশে। বিভিন্ন গণমাধ্যেমেও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হতে থাকে তাদের অনৈতিক সকল কর্মকান্ডের সংবাদ । এই অবস্থায় কুয়েতের একটি জাতীয় পত্রিকায় পাপুলের ভিসা বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশ হয় অত্তান্ত গুরুত্ব সহকারে। তারপরেই পাপুলকে নজরদারিতে রাখে কুয়েতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।
পাপুলের সঙ্গে কুয়েতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার খবর প্রকাশ করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে বিপদের মুখে পড়তে হয়। কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এখন কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন।এই সাজা ভোগএর কারনে বাংলাদেশেও তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়l
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 3:50 AM |
Sunrise | 5:14 AM |
Zuhr | 11:55 AM |
Asr | 3:17 PM |
Magrib | 6:36 PM |
Isha | 8:00 PM |