আজ সোমবার | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি | বিকাল ৪:১২
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার দাডিয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামে হযরত শাহ সুফী ফালু চাঁন চিশতী (রহ:)ওরওফ ফাইলা পাগলার মাজার শরীফকে কেন্দ্র করে শুরু হযেছে মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ফাইলা (ফালু চাঁন শাহ) পাগলার মেলা। প্রতিবছর মাঘী পূর্নিমাকে কেন্দ্র করে এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো ভক্ত ও দর্শকের সমাগমে জমে ওঠে এ মেলা। প্রতিবছর পৌষ মাসের শেষের দিক থেকে শুরু করে পুরো মাঘ মাস ব্যাপী ভক্ত,আশেকান ও দর্শকের পদচারণায মুখর হয়ে থাকে এ মেলা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানত কারী তাদের মানতকৃত মোরগ, খাঁসি, গরু, সিরনিসহ বিভিন্ন œরকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে নেচে গেয়ে ঢোল পিটিয়ে “হেল ফাইলা হেল ফাইলা, ফাইলা নাচে না আমি নাচি” এই শব্দে মুখর করে তোলেন।
মাঘ মাসের পুরো মাস ব্যাপী এ মেলা চললেও মাঘী পুর্নিমার দিন, এর আগে ও পরের দিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লক্ষাধিক ভক্ত,আশেকান, দর্শকের সমাগম বেশী হয়।ভক্ত,আশেকান তাদের মানত করা গরু,ছাগল,মোরগ,মুরগি নগদ টাকা,কদমা,বাতাসা,মোমবাতি, আগরবাতি নিয়ে নানা রঙ্গে সেজে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মাজারে এসে হাজির হয়। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫যুগ ধরে ঐতিহ্যবাহি ফাইলা পাগলার মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসময় মাজারের চারপাশে প্রায় ১০/১৫ একর জমি জুড়ে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে দুই শতাধিক দোকান বসে। মাজারের দক্ষিন পাশে মিস্টি ও রসগোল্লার দোকান বসে। ব্যাপক লোক সমাগমকে কেন্দ্র করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা মাদক ও জুয়া খেলার আয়োজন করে থাকে বলে প্রতিবছরই অভিযোগ উঠে। সেই সাথে ছিনতাই,রাহাজানি,চাঁদাবাজি,মারামারির ঘটনাও ঘটে থাকে।
মাজার ঘেঁষে পূর্ব পাশে উত্তর-দক্ষিনে নির্মিত লম্বা ছাপড়া ঘরে বসে সাধু,সন্ন্যাসীরা রাত-দিন ২৪ঘন্টা দেদারছে গাঁজা,সিদ্ধি সেবন করে যাচ্ছে। এ বিষযে দড়িয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক চেযারম্যান মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এসএম শাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, “প্রতিবছরের ন্যায এ বছরও মাস ব্যাপী মেলা উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহন করা হযেেছ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্ত,আশেকান ও দর্শকরা যাতে নির্বিঘেœ মেলা উদযাপন করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, মেলা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক,চকিদার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রযেছেন। ইতিমধ্যে সখিপুর থানা পুলিশ মদ,গাঁজা সেবন,বিক্রির জন্য নির্মিত ৫০/৬০টি টং ঘর ভেঙ্গে দিয়েছেন।
”উল্লেখ্য: ২০০৩ সালের ১৮ জানুযারি রাতে ওই মেলায পরপর দুটি বোমা হামলায আটজন নিহত হন। জেএমবি ওই হামলার দায় স্বীকার করায প্রতিবছর মেলায পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। এতে বেশ কয়েক বছর মেলাটিতে ভক্তদের সমাগম কমে গেলেও পরবর্তীতে ভক্ত সমাগমের আনাগোনায পুনরায প্রাণ ফিরে পায এ মেলা।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 3:50 AM |
Sunrise | 5:14 AM |
Zuhr | 11:55 AM |
Asr | 3:17 PM |
Magrib | 6:36 PM |
Isha | 8:00 PM |