রাজলক্ষ্মী মৌসুমী:-
>> মনে পড়ে ছোট্ট বেলায় ছুটোছুটি করে পা ভেঙ্গে শয্যাই ছিলো আমার আশ্রয়।
>> আমার শক্তির যোগান দিলো
>> আমার দাদুর পিতলের লাঠি।
>> ওর গায়ে ভর করেই হেঁটেছি।
>> আমার আপন আশ্রয়, আমার একমাত্র সহচরী ছিলো পিতলের লাঠি।
>> লাঠির গায়ে ভর করেই গেলো কিছুদিন।
>> জানো? আমার কেনো জানি লাঠিটার প্রতি খুব মায়া হলো।
>> ওর গায়ে আমি বসে বসে চন্দন তেল মেখে দিতাম।
>> কত বদ্যি, কবিরাজের ঔষধ খেয়েছি। কিন্তু
>> সময় লেগেছে অনেক দিন।
>> লাঠি আমায় চুপিচুপি বলতো আমি কিন্তু
>> মানুষের সারাজীবনের সঙ্গী।
>> আমায় যত্ন করে রেখো।
>> আমি মুচকী হেসে বললাম ধুর পাগল তোমাকে আমার দরকার কিসে?
>> এই দেখো আমি আমি এখন সুস্থ।
>> আমি পদব্রজে যেখানে খুশী সেখানে দৌঁড়ে চলে যাবো।
>> নদীর জলে সাঁতরে পার হয়ে পৌঁছে যাবো গন্তব্য স্থানে।
>> তারপর বাল্যকাল গেলো খুশী, আনন্দ ভেলায়,
>> কৈশোর কেটে গেলো পুঁথি পাঠের উদ্যোমতায়।
>> যৌবনে পরেছি কপালে রাজটীকা। এরপরে—-
>> নিয়মের তাড়নায় বধুয়া বেশে পদার্পণ কোরলাম। সেখানে
>> কত সুখ, কত আনন্দ, কত উচ্ছ্বসিত নিগূঢ় ভালেবাসা
>> পরম সুখ কুঠিরে নিমগ্ন।
>> ধীরে ধীরে সময় অতিবাহিত হয়ে পৌঁছে গেলো জীবনের
>> শেষ বিকেলে।
>> স্বপ্নময় চোখদুটোতে কেবলি দুরাশার বালুচর।
>> আবছা ধোঁয়াটে আবরণে ঢাকা পরে গেলো
>> জীবনের সুখকর অধ্যায়।
>> অনুভবে দাদুর সেই পিতলের লাঠিটাকে আদরের পরশ বুলিয়ে দিই।
>> সবার চোখের আড়ালে আমার আঁচলে ওর শরীরটা মুছে দেই।
>> যখন ওর শরীরটা চক্চক করে তখন আমি ঠিক বুঝি। ওর হাসি মুখটা চোখে দেখতে পাই।।
>> বয়সের ভারে অকেজো আমি । নব্বইয়ের কোঠায় এখন আমি গড়াগড়ি করি বাড়ীর উঠোনে।
>> কাউকে দেখিনা , আমি একদম একা ।
>> মানুষের আশীর্বাদ না অভিশাপ জানিনা।
>> এখন দীর্ঘায়ুর ভার নিয়ে মাটিতে লুটোপুটি করি।
>> তাইতো আজ খুব মনে পরছে সেই পিতলের লাঠির কথা
>> তবে আমি ওকে যত্নেই রেখেছিলাম।
>> ঘুমের ঘোরে অনুভব কোরলাম পিতলের লাঠিটা তো আমার পাশেই।
>> আমায় ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে সোনালী ভোরের হাতছানি দিয়ে হাত ধরে ডাকছে আমায়।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 3:50 AM |
Sunrise | 5:15 AM |
Zuhr | 11:55 AM |
Asr | 3:17 PM |
Magrib | 6:35 PM |
Isha | 8:00 PM |