আজ সোমবার | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি | দুপুর ১:৩৩
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার রায় আজ। তবে দলটির আশঙ্কা এ মামলায় ফরমায়েশি রায় দেয়া হতে পারে। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মামলার সাজা চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। ফখরুল দাবি করেন, অতীতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি’র অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহে আশঙ্কা করছি যে, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সরকারি নীলনকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তোবা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অথচ এই মামলা চলার মতো কোনো আইনগত উপাদান নেই। কেননা, তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সালে জমা দেয়া হয়েছিল সেই সম্পদের পুরো আয়কর জমা দেয়া হয়েছিল। ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা এফডিআর, ওই এফডিআর মামলা দায়েরের আগেই (২০০৫-২০০৬) অর্থবছরের ট্যাক্স রিটার্ন দেয়া হয়েছিল। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে চলমান এই মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে সাক্ষী নিয়ে রায় প্রদানের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশে লাখ লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের এই মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রাত ৮টা, ৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচার কাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এত কিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করে। যদি অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে যাবে। এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শুধু সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধীদলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। সব ক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন প্রত্যক্ষ করছি। ইতিপূর্বে আমাদের দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ বছর ধরে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে।
নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কর্তৃক নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের মামলা দ্রুত শেষ করতে চিঠিও দেয়া হয়েছে। যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। ইতিমধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহকে সাজাও দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছরে সারা দেশে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে সাজা দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদিন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সূত্র: মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 3:50 AM |
Sunrise | 5:14 AM |
Zuhr | 11:55 AM |
Asr | 3:17 PM |
Magrib | 6:36 PM |
Isha | 8:00 PM |