মোটরসাইকেল ও সিএনজি চোর চক্রের সদস্য আপন দুই ভাই আটক

১১ টি হোন্ডা ও একটি সিএনজি জব্দ

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

শফিকুল ইসলাম – রাজধানীর ভাটারা ও গুলশান থানার দু’টি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশাসহ চোর চক্রের সদস্য আপন দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ এলাকায় পৃথক দু’টি ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এসব চোরাই মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ রিপন মাতাব্বর ওরফে রফিকুল ইসলাম ওরফে রিপন হাওলাদার ও তার ভাই মোঃ বাদল মাতাব্বর।
তারা গত ৮ বছরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

এসময় ডিএমপি পুলিশ ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উধর্বতন কর্মকর্তা উপস্হিত ছিলেন।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর ভাটারা ও গুলশান থানার দু’টি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাদল মাতাব্বর ও রিপন মাতাব্বর নামে আপন দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য নিয়ে গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে ৬টি চোরাই মোটরসাইকেল এবং একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

চুরির কৌশল সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত রিপন মাতাব্বর ও বাদল মাতাব্বর তারা উভয়ের আপন দুই ভাই। তাদের সাথে আরো কয়েকজন রয়েছে। কেউ মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখে গেলে প্রথমে বাদল মাতাব্বর মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য রাখে। আর তার বড় ভাই রিপন মাতাব্বরের নিকটে থাকা আলীবাবা নামে খ্যাত ‘মাস্টার কী’ চাবি দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লগ খুলে মোটরসাইকেল নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা গত ৮ বছরে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, উত্তরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, টিএসসি, নগর ভবন, গুলিস্তান, ধানমন্ডি লেক, যাত্রাবাড়ী, কদমতলীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে বলে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে স্বীকার করেছে

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে রিপন মাতাব্বরের নামে তিনটি মাদকসহ ২০টি চুরি মামলা ও তার ভাই বাদলের নামে তিনটি চুরি মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, চুরি করা এসব মোটরসাইকেল যারা কম টাকায় ক্রয় করেন এবং যারা ব্যবহার করে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে।

Please follow and like us: