আজ সোমবার | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৫
ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা-২ আসনটি (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) নিয়ে গঠিত। আসনটিতে ইতিমধ্যে পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের আমেজ শুরু হয়েছে। সবাই সবার জায়গা থেকে চাচ্ছেন আসনটিতে দলীয় নমিনেশন নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে। তবে দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাহিরে থাকলেও প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করছে জনগণ। সাধারণ জনগনের প্রত্যাশা, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের মতামত ও পছন্দের প্রার্থীকে দল থেকে নমিনেশন দিবে।
অন্যদিকে, সবাই সবার জায়গা থেকে দলীয় নমিনেশন পাওয়া নিয়ে আশাবাদী। প্রার্থীরা কর্মীদের সংগঠিত করতে কাজ করছেন। অপরদিকে দলের মধ্যে একাধিক প্রার্থী ও নানা কোন্দলে বিপর্যস্ত এ আসনের বিএনপি। তবে বিএনপিতে কোন্দল থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলটি সুসংগঠিত হবে এবং হাইকমান্ডের নির্দেশেই সবাই কাজ করবে। এ ছাড়া দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা এলাকায় সক্রিয় হয়েছেন। তারা নিয়মিত কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিগুলো পালন করছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন একাধিক নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম, দক্ষিণখান থানার আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির ঢাকা মহানগর উত্তর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল তালুকদার, যুক্তরাষ্ট্র শাখার বিএনপির শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ভোলার রফিকুল ইসলাম মমিনসহ।
তবে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন দৌঁড়ে হাফিজ ইব্রাহিম এগিয়ে থাকলেও দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুসারী হিসেবে আলোচনায় আছেন হেলাল তালুকদার। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক ফুটবলার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি তার একান্ত ঘনিষ্ঠ সহচর। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গেও তার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই এই আসনে বিএনপি থেকে হেলাল তালুকদারের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। দলীয় মনোনয়ন ঘিরে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তাদের সমর্থকদের মধ্যেও চলছে স্নায়ুযুদ্ধ।
এই আসনের নেতাকর্মীরা বলেন, এই আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও হেলাল তালুকদার, জাহাঙ্গীর এম আলমসহ রফিকুল ইসলাম মমিন আলোচনায় রয়েছে। আওয়ামী লীগের তোফায়েল গ্রুপের মতো এই আসনে একক আধিপত্য বিস্তার করতে দেওয়া যাবে না। নেতাকর্মী ও জনগণের পছন্দের প্রার্থীকেই দল থেকে নমিনেশন দিবে। তারা সুখে দুঃখে নেতাকর্মী ও জনগণের পাশে থাকবে। তারা এই এলাকার কৃতি সন্তান।
এদিকে, হেলাল তালুকদার ১৯৮৭ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে থেকে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দৌলতখান উপজেলার সিনিয়র সভাপতি ও দৌলতখান আবু আবদুল্লাহ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও হামলার করা হয়। ওই মামলার পরে তাকে আটক করার জন্য ওই সময়ের এমপি নজরুল ইসলামসহ আ. লীগের এমপি তোফায়েল আহমেদ যৌথভাবে মাঠে নামে। হামলা-মামলার পরে তিনি দীর্ঘদিন ঢাকার তৃনমূল ও মূল দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যুবদল, মূলদল ও ঢাকা মহানগর উত্তরের বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির ঢাকা মহানগর উত্তর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে হেলাল তালুকদার বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়। আমি বরাবরই শহীদ জিয়ার আদর্শ মেনে রাজনীতি করি। ছাত্র জীবন থেকেই আমি ছাত্রদের পাশে থেকেছি ও মানুষের জন্য কাজ করেছি। রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই এবং আ. লীগ দোসরের বিভিন্ন হামলার শিকার হয়ে বহুবার কারাবন্দী হই। ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। জন্ম স্থানে (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) বহু মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিপদের সময় তাদের পাশে থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এখন বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আছে। তাই দল যদি আমাকে বিবেচনা করে। তাহলে সংসদ সদস্য হয়ে আমার এলাকার মানুষের জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করবো। তারপরেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি সেটাই পালন করবো।
আগামী নির্বাচনে ধান প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিতে চান তিনি। এরই মধ্যে আগাম নির্বাচনী প্রচার শুরু করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। ভোটারদের মন জয়ের লক্ষ্যে অসহায় মানুষের দুয়ারে গিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহায়তার হাত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমেও উঠে আসছে তার কর্মকাণ্ডের বৃত্তান্ত। তার এসব কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করছেন অনেকে। কেউ কেউ মনে করেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ে এসব তৎপরতা ইতিবাচক হিসেবেই গৃহীত হবে। অন্যদিকে এলাকার জনগণ বলেন, হেলাল তালুকদার এলাকায় অনেক মানুষকে সহযোগিতা করেছেন এবং তাদের পাশে ছিলেন। তিনি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে।
অন্যদিকে পিছিয়ে নেই হাফিজ ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর এম আলম, রফিকুল ইসলাম মমিন সহ অন্যান্যরা। তারাও শক্ত হাতে নেমেছে মাঠে। কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। জনগণের পছন্দে তাদেরও জনপ্রিয়তা রয়েছে বরাবরের মতো। একাধিক মুখে গুঞ্জন রয়েছে, দল থেকে নমিনেশন না দিলেও বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেঁচে নিবে।
এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম আজকের ভোলাকে বলেন, ভোলা-২ আসনটি একটি অবহেলিত আসন। আওয়ামী লীগের কুখ্যাত সন্ত্রাস আলী আযম মুকুল এই আসনটি দীর্ঘ ১৭ বছর জিম্মি করে রেখেছেন। আমরা চাই আগামীতে যিনি দেশের নেতৃত্ব দিবেন, তিনি যেন এ আসনটিতে একজন ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দেয়। এর চেয়ে বেশিকিছু আপাতত বলার নেই।
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১২:৫৫ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:১৭ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৩৫ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৯:০০ অপরাহ্ণ |