আজ সোমবার | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি | সকাল ৬:৩৫
‘দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার রাতে গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আজকের যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছি আমার মনে হয় যে, একটা ব্যাপারে আমরা একমত যে, আমরা আমাদের দেশের যে জাতীয় নিরাপত্তা সেই নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে।”
‘‘ এখানে কেউ কেউ বলতে চেষ্টা করেছেন যে, কিছুটা বিভেদ আছে, বিভাজন আছে সেটা জনগণের মধ্যে নেই।রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মত ও পথে কিছুটা মতপার্থক্য থাকতেই পারে যেটা স্বাভাবিক।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সব সময় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে প্রয়োজনের সময়ে। প্রতিটি ক্রান্তিকালে প্রতিটি সংকটে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করেছে, দেশকে রক্ষা করেছে। আপনারা সেই তিতুমীরের পরে থেকে শুরু করেন একেবারে ’২৪ পর্যন্ত আসেন দেখবেন প্রতিটি সময়ে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রত্যেকটি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।”
‘‘ ’৫২‘র ভাষা আন্দোলন বলেন, ‘৬৯‘র গণঅভ্যুত্থান বলেন, ’৭০ এর নির্বাচন বলেন, ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বলেন সর্বক্ষেত্রে মানুষ এক হয়ে লড়াই করেছে তাদের নিজের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহাসিকভাবে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকে তাদের প্রয়োজনের সময়ে।”
গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ‘য় ‘ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ(এফএসডিএস) এর উদ্যোগে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য্য’ শীর্ষক এই জাতীয় সংলাপ সভা হয়।
‘জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে হবে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ মূল ব্যাপারটা হচ্ছে যে, জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে হবে,জনগণের সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করতে হবে… আমরা যদি সেটা করতে পারি তাহলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজ হয়ে আসবে।”
‘‘ আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারিনি ঠিকমতো। আমরা গণতন্ত্রকে চর্চা করতে গিয়ে প্রতি পদে পদে বাধা পেয়েছি।সেই জায়গায় আজকে আমাদেরকে একমত হতে হবে।আমরা ধারণা আমরা সবাই এই ব্যাপারে একমত হয়েছি। অনেকে নীতিবাচক কথা বলছেন, আমি কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে দেখতে পারছি সামনে। বাংলাদেশের মানুষ তর্ক করছে, বির্তক করছে, আলোচনা করছে এবং তার মধ্য দিয়ে তারা একটা জায়গায় এসে পৌঁছাচ্ছে।আমি বিশ্বাস করি এই আলোচনার মধ্য দিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমরা সেই জায়গাটায় পৌ৭ছাবো যেখান থেকে আমরা সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মাণ করবার জন্যে সঠিক পথ খুঁজে বের করতে পারব।”
তিনি বলেন, ‘‘ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে আমরা মনে করি, ইন্সটিউশনগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাকে শক্তিশালী করতে পারলে জাতীয় নিরাপত্তা আমি নিশ্চিত করতে পারব এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকেও আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”
‘‘ সেই কারণে আমি বলব, আসুন আজকে কোনো নীতিবাচক চিন্তা না করে এই যে, সামনের সময়টুকু যে সময়ের মধ্যে আমরা দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে যেতে চাই সেখান আমরা যেন দ্রুত যেতে পারি তার জন্য আমরা সবাই যেন কাজ করি।”
‘রাষ্ট্র সংস্কার আমরা বুহ আগেই বলেছি’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ প্রশ্নটা হচ্ছে, গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া, প্রশ্নটা হচ্ছে, গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটানো, প্রশ্নটা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করা… আমরা রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছি অনেক আগেই বলেছি… ২০১৬ সালে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছি, ২০২৩ সালে ৩১ দফার কথা বলেছি যেখানে পুরো রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছি।”
‘‘ কিন্তু কোথায় প্রোভলেমগুলো হচ্ছে আমি বুঝতে পারি না। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এই জায়গায়টায় আমাদের এক হওয়া দরকার, অর্থা আমরা সবাই এক হয়ে এগুনো দরকার। রাজনৈতিক দল যেহেতু আমাদের মধ্যে বিভিন্ন মত থাকবেই সেই মতগুলোকে আমরা এক জায়গায় নিয়ে এসে আমরা অন্তত এক জায়গায় আসি যে, আমরা গণতন্ত্রে ফিরে যাব, জনগণের ক্ষমতায়ন করব, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবো সেই কাজ ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে জনগণ তার মতকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।”
এফএসডিএসের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের আহ্বায়ক বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সেনা প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, কবি ফরহাদ মজহার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মনির হায়দার, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক ঊধর্বতন কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নেন।
সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১:০৩ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:২৩ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৪৯ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৯:১৬ অপরাহ্ণ |