আজ সোমবার | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২৬শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি | রাত ৪:১৪
বিডি দিনকাল ডেস্ক : – জুলাইয়ের ভেতরে ‘জুলাই সনদ’ না হলে তার দায় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর বিআরটিসির বাস ডিপোর সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মৌন মিছিলপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় সনদ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা আজকে সংস্কার কমিশনে গিয়ে আলোচনা করছে খানা-পিনা খাচ্ছে, সন্ধ্যা বেলায় চলে যাচ্ছে এবং কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না, তারা কারা? তারা কেউ ১৩ দল, কেউ ১৪ দল, কেউ বিভিন্ন রকমের দল- যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও বিভিন্ন সময় সংযোগে ছিল। তাদের বক্তব্য শুনে যদি সংস্কার কমিশনে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, জাতির জন্য দুর্ভাগ্য হবে। আমি বলছি না যে, ওখানে সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল। কিন্তু কিছু কিছু দল ছিল যাদেরকে ওখানে আহ্বান করা হয়েছে, আমরা মানা করেছিলাম, তাদের সঙ্গে বসে কিভাবে সংস্কারের আলোচনা করব। কিন্তু সংখ্যায় অনেক তাদেরকে নিয়ে তারা লাভ করছে, খানা-পিনা খাচ্ছে- কোন সিদ্ধান্ত ছাড়া বেরিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আজকে জুলাই মাসের ১৮ তারিখ, যদি জুলাইয়ের ভেতরে জুলাই সনদ অর্থাৎ জাতীয় সনদ প্রণীত না হয় সেজন্য দায়ী থাকবে এই সংস্কার কমিশন, ঐকমত্য কমিশন এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তিনি বলেন, সেজন্য আমাদের উপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে অবিরাম। বিএনপির কারণে নাকি সংস্কার হচ্ছে না। এক এক করে প্রতিদিন সাংবাদিক বন্ধুদের বলছি, প্রত্যেকটা ঐক্যমতে আসার পিছনে বিএনপির পরামর্শই নিতে হচ্ছে। বিএনপি প্রত্যেকটা ঐক্যমত পোষনের জন্য এগিয়ে আসছে। যেহেতু আমাদের এই প্রস্তাব হচ্ছে, ৩১ দফা প্রস্তাব জাতির জন্য সংস্কারের। আমরা এই জাতির সম্মুখে ৩১ দফা প্রদান করেছিলাম, যা আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, যে দলটি সবসময়ে বিভ্রান্তিমূলক রাজনীতি বাংলাদেশে করেছে। এক সময়ে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গেছে, আরেক সময় জনগণের বিরুদ্ধে গেছে, আরেক সময়ে মানুষের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গেছে। তারা সবসময় বিভ্রান্তিমূলক রাজনীতি করে। এবার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। আমি নাম নেবো না, আপনারা বুঝে নেন। বাংলাদেশের মানুষ সবই বুঝে।
আরেকটি দলেও কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নাকি হাতপাখা দিয়ে ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে বাতাস করেছে, তারা নাকি কোথাও পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন চায় না। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি দল, যে সবসময় বিভ্রান্তিমূলক রাজনীতি করেছে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাই নাই। আর কোনো শুকনি কখনই থাবা দিতে পারবে না বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রের ওপরে। আজকে যারা নতুন নতুন বাক্য বিশারদ হয়েছেন রাজনীতিতে, তাদের উদ্দেশ্যে নসিহত করছি- যারা নতুন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখছেন, এই স্বপ্ন দেখা ভালো। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কেউ যদি দেশে নির্বাচনকে পিছিয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে এবং নির্বাচন না করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে চায় অথবা বিভিন্ন রকমের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদের দোসরা যেন আবার পুনর্বাসিত হয়।
গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিস্টদের রাজনৈতিক হয়েছে বাংলাদেশে ঢাকায় এই মিরপুরে, গুলিস্থানে, পল্টনে- কিন্তু দাফন হয়েছে দিল্লিতে। সুতরাং যারা শেখ হাসিনাকে, এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র এবং প্লট সৃষ্টি করছে- তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করব। যারা পিআর পদ্ধতির নামে বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি তুলছে, যারা বলছে- জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই, তাদের একটা একটি অসৎ উদ্দেশ্য আছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মৌন মিছিলে শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, মোঃ আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আফাজ উদ্দিন, হাজী মোঃ ইউসুফ, মোঃ শাহআলম, মাহাবুব আলম মন্টু,সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব সহ বিভিন্ন থানা , ওয়ার্ড এর বিভিন্ন স্তরের হাজারো নেতাকর্মীরা ।উত্তরের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১:০৫ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:২৬ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৪৭ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৯:১১ অপরাহ্ণ |