আজ বৃহস্পতিবার | ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২৯শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি | সকাল ৬:৫৫
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত রজনী ইসলাম (৩৬) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের কবরস্থানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। রজনী একই এলাকার জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। ব্যবসার কারণে জহুরুল ইসলাম তার পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরায় থাকেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে এস এম রুবাই ইসলাম (১৭) এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। অপর ছেলে এস এম রোহান ইসলাম (১২) উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছোট মেয়ে এস এম ঝুমঝুম ইসলাম (১০) একই প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
জানা যায়, মেয়েকে আনতেই স্কুলে গিয়েছিলেন রজনী। তবে মেয়ের স্কুল ছুটি হওয়ার পরপরই ক্যান্টিনে চলে যাওয়ায় দুর্ঘটনা থেকে সে প্রাণে বেঁচে যায়। মা স্কুল ক্যাম্পাসে গিয়ে মেয়েকে না পেয়ে ফেরার সময় বিধ্বস্ত বিমানের লোহার টুকরোর আঘাতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে, অসুস্থ থাকার কারণে ঘটনার দিন ছেলে এস এম রোহান ইসলামের স্কুলে যাওয়া হয়নি। এর আগে নিহত রজনীর মরদেহ ঢাকার সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে মঙ্গলবার ভোরে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে বাবার বাড়িতে নেয়া হয় মরদেহ। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর সকাল ৭টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় লাশবাহী এম্বুলেন্সের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ পৌঁছালে স্থানীয়রা একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। এ সময় নিহতের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়লে সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মরদেহ প্রথম শনাক্তকারী জহুরুল ইসলামের ভাগ্নে বুলবুল ইসলাম জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে জহুরুল ইসলাম ঢাকায় থাকেন। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দুর্ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে ক্লাস শেষ করে ঝুমঝুম ক্যান্টিনে ছিল। স্কুলে মায়ের সঙ্গে তার দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। বিমান দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঝুমঝুমের খোঁজে পরিবারের সদস্যরা স্কুলে ছুটে যান।
নিহতের স্বামী জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি ব্যবসার কাজে চট্টগ্রাম ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনার খবর জানার পর দ্রুত প্লেনে ঢাকায় ফিরে আসি। পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু তার মায়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করার একপর্যায়ে ভাগ্নে ফোন করে জানায় রজনীর মরদেহ সামরিক হাসপাতালে রয়েছে। দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। একটু দূর থেকে শাড়ি দেখে চিনতে পারি স্ত্রীর মরদেহ। তিনি আরও বলেন, যতটুকু দেখেছি তাতে রজনীর মাথার পেছনে আঘাত রয়েছে। শরীরের কোথাও পোড়া বা আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, বিমান দুর্ঘটনার সময় বিমানের কোনো অংশ তার মাথায় আঘাত করে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মেনে নেয়া কষ্টকর বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আজ সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ দাফন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:০০ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১:০৫ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:২৭ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৪৫ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৯:০৯ অপরাহ্ণ |