আজ মঙ্গলবার | ২১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি | রাত ১০:৪৫
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট—বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বীরত্বগাথা দিন। এদিন ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও তীব্র প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। বাংলাদেশ মুক্তি পায় এক দীর্ঘকালীন নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কবল থেকে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের যৌথ হামলায় শত শত মানুষ শহীদ হন, আহত হন অগণিত জনতা। তবু থেমে থাকেনি জনতার পদযাত্রা।
এই ৫ আগস্ট—একদিকে বিজয়ের দিন, অন্যদিকে বেদনার দিন। কারণ আওয়ামী সরকারের পতনের পরও পুলিশের বর্বরোচিত হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারান।
গণআন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। অথচ তিনিই একসময় দাম্ভিক ভঙ্গিতে বলেছিলেন, “শেখ হাসিনা পালায় না।”
৫ আগস্ট, সরকারের জারি করা কঠোর কারফিউ উপেক্ষা করে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিকে সফল করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে লাখো মানুষ রাজধানীর পথে রওনা হন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিশ্চিত করার পর ঢাকার রাজপথে শুরু হয় জনতার উল্লাস। মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের কথিত শক্ত ঘাঁটি এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘকালের দম্ভিত আধিপত্য।
রাজধানীর রাজপথে নেমে আসে কোটি কোটি মানুষ। বিক্ষোভ আর বিজয়ের মিছিলে ঢেকে যায় পুরো ঢাকা শহর। লাখ লাখ বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করে প্রতীকী বিজয় উদযাপন করে। শুধু গণভবনই নয়—ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশত্যাগ করার পর উত্তাল জনতা প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ ভবনেও।
দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর রাজপথে শিশুসহ বৃদ্ধ, শ্রমজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী—সবার পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো শহর। একনায়কতন্ত্রের পতন আর জনগণের বিজয়ের এই দিনটিকে জাতি উদযাপন করে এক অবিস্মরণীয় গণজাগরণে পরিণত করে।
এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মোড়—যেখানে আত্মত্যাগ, সংগ্রাম আর বিজয়ের অনন্য এক দৃষ্টান্ত রচিত হয়।
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১:০৪ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:২৯ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৩৯ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৯:০১ অপরাহ্ণ |