আজ বৃহস্পতিবার | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি | রাত ১১:৩১
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি, হয়রানী থেকে মুক্তি আর অর্থ লেনদেন মধ্যস্থকারী নির্মুল এবং অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারীদের শৃংখলায় ফেরানোর সফলতা পেলো দীর্ঘদিন পর আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অফিস ।
সুত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ভূমি অফিসে অতীতের চেয়েও বৃদ্ধি পেয়েছে ভূমি সেবার মান। এই অফিসে ভুমি মালিকরা বাৎসরিক খাজনা পরিশোধ করার জন্য নিজ নামে নতুন খতিয়ান প্রাপ্তির জন্য ভুমি অফিসে আসেন। প্রতিদিন শ”শ” গ্রাহক খাজনা, নামজারী, মিসকেসসহ বিভিন্ন ভুমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ভুমি কর্মকর্তাদের নিকট সরনাপন্ন হন। সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা যেন ভুমি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য এই অফিসে মধ্যস্থকারী মুক্ত, অবৈধ ভাবে অর্থ লেনদেন মুক্তসহ অফিসে কাজ কর্মে শৃংখলায় আনতে কঠোর প্ররিশ্রম করছে কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকরা পরিপুর্ন সেবা পাওয়ায় এই খাত থেকে ভুমি মন্ত্রনালয় কর্তৃক সরকার বৃহত একটি অংশ অর্থ সরকারের রাজস্ব তহবিলে জমা হয় অনলাইনের মাধ্যমে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পুর্ণাঙ্গ গ্রাহক সেবা দিতে যদিও এ অফিসে প্রয়োজনমত লোকবল দেয়নি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেবার মান স্বচ্ছ রাখতে । এ অফিসে সময়ের কাজ সময়ে শেষ হচ্ছে। তাদের এই প্রচেষ্টায় উপজেলার ইউনিয়নের ভূমি অফিসগুলোতে জনসাধারণের জনদুর্ভোগ রোধ করে জনবান্ধব অফিসে পরিণত করেছে। জমির নামজারী করতে আসা গ্রাহকরা শুনানীতে উপস্থিত হয়ে মুল কাগজ পত্রাদী উপস্থাপন করছে পরে মামলা গুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে। সপ্তাহে দুদিন মিসকেসসহ বিভিন্ন জমি সংক্রান্ত মামলা স্বল্প সময়ের মধ্যে বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে। জমি সংক্রান্ত জটিলতা সঠিক সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক সমাধান করছে।
কয়েকজন গ্রাহক নামজারী শুনানী করতে এসে এই প্রতিবেদককে জানান, এখন আর এই অফিসে হয়রানী হতে হয়না, মধ্যস্থকারীর নিকট যেতে হয়না, বাড়তি অর্থ গুনতে হয়না। নিজেরাই নির্ধারিত তারিখে মুল দলিল পত্রাদিসহ উপস্থিত হয়ে শুনানী করছি সাথে সাথে সমাধানও পাচ্ছি। সেই সাথে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে আর অর্থ লেনদেন মধ্যস্থকারী নির্মুল হয়েছে সেই সাথে অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আন্তরিকতা বেড়েছে। সেবা প্রাপ্তী ৮০ বছরের বৃদ্ধা শাহাদাত খান একটি নামজারী করতে এসে এই প্রতিবেদকের নিকট তার মন্তব্য জানান, ১৫৮০৮ /২৪-২৫ নামজারী করতে আসলে একজন মধ্যস্থকারী ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি কন্যা দায়গ্রস্থ পিতা আমি টাকা নেই মেয়েকে বিবাহ দিবো। এই নামজারী সম্পন্ন করে জমি বিক্রি করে মেয়ে বিয়ে দিবো এই বিষয়টি স্ব-শরীরে এই অফিসের সহকারী কমিশনার সাদিয়া আক্তার স্যারের সাথে বিষয়টি বললে তিনি বলেন আপনি আবেদন করে আমার নিকট নিয়ে আসেন আমি যথাযথা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নামজারি সম্পন্ন করে দিচ্ছি। পরে সাহাদাত খান ২৯ এপ্রিল আবেদন করেন ১৫ মে ২৫ ইং তারিখে নামজারী সম্পন্ন করে দেন এই কর্মকর্তা। তিনি দু হাত তুলে দোয়া করেন এরকম কর্মকর্তা এই অফিসে যুগ যুগ ধরে যেন আমার মতো সকলকে সেবা দিতে পারে। এরকম মন্তব্য শ” শ” সেবা প্রার্থীরা প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার বলেন, এ অফিস সম্পুর্ন ভাবে শতভাগ ঘুষ, দুর্নিতি, গ্রাহক হয়রানী মুক্ত। এ অফিস নিয়মের মধ্যে থেকে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ানের মতো সেবাগুলো সহজলভ্য ও স্বচ্ছ করা হয়েছে, যা সময়, শ্রম ও খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি হয়রানি কমিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১২:৪৩ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:০০ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২৬ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৭:৪২ অপরাহ্ণ |