আজ শুক্রবার | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি | রাত ৩:০৭

শিরোনাম :

জানা যাবে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকারের আদলে রূপ দিতে হবে — মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ–কুয়েত প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত ওদের(জেন জি) চিন্তা, ‍ওদের ভাবনা এবং আমাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ ঃমীর্জা ফখরুল বিএনপিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা সফল হবে নাঃ সালাহ উদ্দিন আহমদ(ভিডিও সহ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের বিবৃতি : নাশকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে :বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বিবৃতি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাক্ষরিত হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান , গুম-খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন কর্মকর্তা এখনো কর্মরত ও একজন এলপিআরে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন , গত ৮ই অক্টোবর আইসিটিতে প্রথম দুইটা চার্জশিট জমা পড়ে। এরপর তৃতীয় আরেকটা চার্জশিট জমা পড়ে। এই সংবাদটি আসা শুরু করেছে বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে। আমরা টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, চার্জশিট জমা পড়েছে। চার্জশিটগুলোর মধ্যে একটা ছিল গুম সংক্রান্ত যারা তখন ডিজিএফআই-এ কর্মরত ছিলেন তাদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আরেকটা ছিল র‌্যাবের টিএফআই নিয়ে আর আরেকটা ছিল ৪-৫ আগস্টের রামপুরার ঘটনা নিয়ে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর আইজিপি’র কাছে চলে যায়। নিয়ম অনুযায়ী এবং ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চার্জশিট কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমরা পাইনি। চার্জশিটে প্রায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন কর্মকর্তা, এলপিআরে আছেন ১ জন কর্মকর্তা ও কর্মরত আছেন ১৫ জন। যারা অবসরে চলে গেছেন তাদের প্রতি আমাদের সেনা আইন ওইভাবে খাটে না। তিনি বলেন, তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃতি বাংলাদেশের সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ তারিখে কর্মরত ১৫ ও এলপিআরে থাকা ১ জন সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য একটা আদেশ সংযুক্তি করে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আদেশে তাদের বলা হয়েছে, ৯ তারিখে তারা যেন ঢাকা সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে চলে আসে। আমরা কিন্তু এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি বা পুলিশও আমাদেরকে কিছু জানায়নি। তারপরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব কর্মকর্তাকে হেফাজতে আসার জন্য আদেশ দিয়ে দেয়।

মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, সেনাবাহিনী এরকম প্র্যাকটিস করে। এটার মতো না হলেও এরকম কিংবা অনেক সেনসিটিভ কেসের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫৪ বছর পার করে এসেছে। যাদের নামে অভিযোগ উঠে প্রথমে তাদেরকে আমরা হেফাজতে নিয়ে নেই। তখন বিভিন্ন কোর্ট মার্শাল হয়, কোর্ট মার্শালের রায় অনুযায়ী তখন বিচারের রায় অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা যাদেরকে হেফাজতে আসতে বলেছি তাদের মধ্যে সবাই রেসপন্স করেছে। কিন্তু এর মধ্যে শুধু একজন রেসপন্স করেননি। ওই একজন কর্মকর্তা ৯ তারিখ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স করেননি। পরে ১০ তারিখে আমরা তার সঙ্গে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। আমরা জানতে পারি, উনি ৯ই অক্টোবর সকালে বাসা থেকে একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বের হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি আর বাসায় ফেরত আসেননি। তারপর তার সঙ্গে তার পরিবারেরও মোবাইল ফোনেও কোনো যোগাযোগ স্থাপন হয়নি। তিনি হলেন মেজর জেনারেল কবির। তিনি বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিয়ম অনুযায়ী তাকে ই-লিগ্যাল এবসেন্ট (অবৈধভাবে অনুপস্থিত) হিসেবে ঘোষণা করি। এরপর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আমরা আরও কিছু অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন করি গত ১০ই অক্টোবর। এ বিষয়ে আমরা আরও কিছু কাজ করেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলেছি তোমরা যে যেখানে আছো স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দর দিয়ে যেন উনি অবৈধভাবে দেশের বাইরে না যেতে পারেন। উনার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনাতেও আমরা লোক পাঠিয়েছি। উনি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন- এ বিষয় মাথায় রেখেও আমরা খোঁজ নিয়েছি। উনি যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারেন সেজন্য আমি নিজে ডিজি ডিজিএফআই, ডিজি এনএসআই ও ডিজি বিজিবি’র সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনানুগভাবেই বিষয়টির সমাধান হবে। আপাতত তারা সেনা হেফাজতে আছেন। পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে দেয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত ১৫ কর্মকর্তা সেনা সদরের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে হেফাজতে এসেছেন, এদের মধ্যে একজন সিদ্ধান্ত অমান্য করে মিসিং রয়েছেন। তার সন্ধান চলছে, বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে।

অভিযুক্তদের বিচার সামরিক আইনে নাকি আইসিটি আইনে বিচার হবে এ বিষয়ে কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থান আছে কিনা। এছাড়া অভিযুক্তরা সাজা পাওয়ার আগে তাদের চাকরি থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইসিটি আইন বনাম সেনা আইন- এটা না বলাই ভালো। মুখোমুখি বিষয়টি না বলাই ভালো। দ্বিতীয় যে বিষয়টি হচ্ছে- আইসিটি আইনে বলা আছে যে, অভিযোগ পত্রে নাম উঠলে চাকরি চলে যাবে। এখানে প্রথম বিষয়টি হচ্ছে যে, অভিযুক্ত সে কি আসলে সাজাপ্রাপ্ত। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ওই ব্যক্তির আপিলের সুযোগ থাকে, আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর যদি সাজা বহাল থাকে তখন তাকে আমরা সাজাপ্রাপ্ত বলতে পারব। আবার দেখা যাবে, এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন খালাস পেয়ে গেলেন। খালাস পেয়ে গেলে ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী সে আবার তার সার্ভিসের ফিরে যেতে পারবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো- এর ভিতর দিয়ে তার যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক…. দেখা গেল অনেকে মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে অসুস্থ হয়ে গেলেন বা কেউ হার্ট এটাক করে ফেললেন এগুলোর কি হবে। এগুলো কি বলা হচ্ছে মানবাধিকার।

তিনি বলেন, এখন সেনাবাহিনীতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। কোনো কর্মকর্তার বিচার চলাকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর নিয়মে বয়স শেষ হয়ে গেলে সে তো অবসর চলে যাবেন। তখন সে খালাস হলেও তো তাকে আমরা চাকরিতে নিতে পারবো না। তাই ট্রাইব্যুনালের ওই আইনের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চাবো।

চার্জশিটে যেসব কর্মকর্তাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে সেনা আইনে কোন কার্যক্রম চলছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুম সংক্রান্ত আমাদের ন্যাশনাল একটা কমিশন আছে। এই কমিশনকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। তাই সেনাবাহিনী আর কমিশন করেনি, আমরা কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি, এখনো করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আর্মি জাস্টিসের প্রতি অটল। যেটা জাস্টিস হবে বাংলাদেশ আর্মি সেটার পক্ষে থাকবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর এই মেজর জেনারেল বলেন, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে কিন্তু বলা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অর্গানাইজেশন হিসাবে এসব ঘটনার সাথে জড়িত না। আমাদের কতিপয় অফিসার কেউ হয়তো র‌্যাবে ছিল, কে হয়তো ডিজিএফআই ছিল কিন্তু তারা আর্মিতে আমি তো থাকা অবস্থায় কিন্তু না। র‌্যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে আর্মি সদর দপ্তরের আন্ডারে নয়। ডিজিএফআই সরাসরি প্রাইম মিনিস্টার অফিসের আন্ডারে কখনোই আর্মির আন্ডারে নয়। বর্তমানেও ডিজিএফআই প্রধান উপদেষ্টার অফিসের আন্ডারে। যেহেতু তারা আমাদের সদস্য তাই তারা আমাদের হেফাজতের আছে। অভিযোগপত্র আমাদের কাছে আসলে আমরা বুঝতে পারবো কে কতটুকু জড়িত।

ট্রাইবুনাল একটি নির্দিষ্ট ডেট দিয়েছে অভিযুক্তদেরকে হাজির করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে যেটা আইনগতভাবে হওয়ার কথা সেটা হবে। কিন্তু সেই আইনগত প্রক্রিয়াটা কি হবে এবং ২২ তারিখে তাদেরকে আদালতে হাজির করা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের বিষয়ে আমরা একটা ব্যাখ্যা চাবো, ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ২২ তারিখের বিষয়টা আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিব।

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পুরো জাতি এখন নির্বাচনমুখী। গত ১৩-১৪ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে সেনা সদস্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিমাণ তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ট্রেনিং, পোস্টিং, প্রমোশনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঘটনাটি সেনা সদস্যদের মনোবলে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে আমরা সব সময় ন্যায়ের পক্ষে থাকব।

অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবসরে যাওয়া যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, তাদের পুলিশ চাইলে গ্রেপ্তার করতে পারে। আমরা শুধু বলেছি, যদি তারা আমাদের হেফাজতে আসতে চায়, তাহলে সেটাও সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, অবসরপ্রাপ্তরা সরাসরি সেনা সদর দফতরের অধীন নন।

যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছিল: আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় প্রসিকিউশনের দেয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৩ জন আসামি। দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।

শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য আসামিরা হলো- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাব কর্মকর্তা কেএম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, আবদুল্লাহ আল মোমেন, সারোয়ার বিন কাশেম, খায়রুল ইসলাম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমন। এ ছাড়া জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলো- প্রতিরক্ষা বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী ও লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক।

সেনা সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার চেয়ে বিবৃতি: এদিকে, সেনা সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে গতকাল গণমাধ্যমে আলাদা বিবৃতি দিয়েছে কিছু সংগঠন। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিবৃতি আসে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের স্বাক্ষরে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ পাঠান আরেকটি বিবৃতি। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার কার্যকর করা হয়নি। এই বিলম্ব ও দীর্ঘসূত্রতা ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক গুরুতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি, গণ-অভ্যুত্থানের পরে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার জাতি করেছে, এই দায়মুক্তির সংস্কৃতি সেটিকে বিপন্ন করছে। ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর তরুণ কর্মকর্তা ও সৈনিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু বিগত স্বৈরাচারী আমলে কিছু বিচ্যুত কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। র‌্যাব, ডিজিএফআই এবং গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রচ্ছায়ায় গুম, খুন ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যা কোনো ভাবেই সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই অপরাধীদের বিচার না হলে সেনাবাহিনীর মর্যাদা কলঙ্কমুক্ত হবে না। অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারপ্রক্রিয়া দৃশ্যমান করা এবং আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

আইন/আদালত এক্সক্লুসিভ জাতীয় প্রধান খবর প্রশাসন

আরও পড়ুন

গত ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

  • আর্কাইভ

    জানা যাবে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়

    প্রতিপক্ষকে দূর্বল ভাবার কোন সুযোগ নেই-ডা: সালাউদ্দিন বাবু

    এবার সেন্টমার্টিনে অসহায় জেলে পরিবারের পাশে তারেক রহমান

    তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দাবাড়ু মনন রেজা নীরকে আর্থিক সহায়তা দিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক

    জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত

    বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত ধ্বংসের চেষ্টায় ভারতীয় নাগরিক জগদীশ সিং চক্র

    বিশিষ্ট ইসলামী আলেম শেখ সালেহ আল-ফাওযানকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাদশাহ সালমান

    গার্মেন্টস শ্রমিককে হত্যা মামলায় উত্তরায় আরিফ মোল্লা নামের যুবলীগ নেতা কারাগারে

    অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকারের আদলে রূপ দিতে হবে — মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

    ভিন্নমত দমন নয়, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষা করতে চাই – আমিনুল হক

    নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফতার

    কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে মাদকদ্রব্য হেরোইন সহ ০১ জন নারী গ্রেফতার

    লালমনিরহাটে আ’লীগ-জাপার দলীয় পদ থেকে গণপদত্যাগ করলেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা।

    উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে বিউপি’র শিক্ষার্থী র্ধষণ মামলার আসামী বিপ্লব রোজারিও-কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

    বাংলাদেশ–কুয়েত প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত

    কুমিল্লার দৃষ্টিহীন গায়ক জাহাঙ্গীর আলমের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

    রূপনগর–পল্লবীতে আমিনুল হকের অনন্য উদ্যোগ: মোড়ে মোড়ে ‘পত্রিকা সাইনবোর্ড’ স্থাপন

    কেআইবি’র নির্বাচন ঘিরে বিক্ষুব্ধ কৃষিবিদের বিক্ষোভ

    জুলাই যুদ্ধা চান্দিনার সেই শহীদ তায়িমের কবর জিয়ারত ও স্বজনদের পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

    ওদের(জেন জি) চিন্তা, ‍ওদের ভাবনা এবং আমাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ ঃমীর্জা ফখরুল

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জুবায়েদ হোসাইনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা

    আমার দেশ পত্রিকার রিপোর্টারসহ কিছু সাংবাদিক হেনস্তার শিকার’র ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বিবৃতি

    চান্দিনার- এতবার গ্রামে জুলাই যোদ্ধা শহীদ তায়িম ভূঁইয়া’র কবর জিয়ারত করে চৌদ্দগ্রামে দৃষ্টিহীন গায়ক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে যাবেন আমরা বিএনপি পরিবার

    বিএনপিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা সফল হবে নাঃ সালাহ উদ্দিন আহমদ(ভিডিও সহ)

    নিন্দা, প্রতিবাদ এবং মুক্তি দাবী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির

    কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ এইচএসসি রেজাল্টের দিক থেকে জেলার শীর্ষ স্থানে

    কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে জাল টাকা সহ ১ জন গ্রেফতার

    কুড়িগ্রামে বিএনপির খুলি বৈঠক ও ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ

    ভাটারা থানা জিতলো জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল

    স্বল্প পুঁজি নিয়েও বড় জয় পেলো বাংলাদেশ


    • বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
      ওয়াক্তসময়
      সুবহে সাদিকভোর ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ
      সূর্যোদয়ভোর ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ
      যোহরদুপুর ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
      আছরবিকাল ৪:০০ অপরাহ্ণ
      মাগরিবসন্ধ্যা ৬:২৬ অপরাহ্ণ
      এশা রাত ৭:৪২ অপরাহ্ণ
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুল হাসান বাবলু
    ই-মেইলঃ dk.kamrul@gmail.com
    copyright @ বাংলাদেশ দিনকাল / বিডি দিনকাল ( www.bddinkal.com )
    বিডি দিনকাল মাল্টি মিডিয়া (প্রা:) লিমিটেড প্রতিষ্ঠান।