আজ মঙ্গলবার | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি | রাত ৮:৩০

মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন ঃ-
বাণী
“মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানে সেদিন পূরণ হয়েছিল রাজনৈতিক শুণ্যতা।
সেনাবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সমর্থনের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন। এই বিপ্লবের মূল চরিত্র ছিল জিয়াউর রহমানের প্রতি সেনাবাহিনী ও জনগণের স্বত:স্ফুর্ত সমর্থন। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে ও একজন নিষ্কলুষ সাহসী সৈনিক হিসেবে জিয়ার প্রতি সামরিক বাহিনী ও জনগণের ব্যাপক সমর্থন ছিল। জনগণের সমর্থনের কারণে জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে মহানায়কে পরিণত হন। সিপাহী-জনতার এই বিপ্লবের সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি। এই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সামাজিক শান্তি ফিরে এসেছিল। দেশ, জনগণ, স্বাধীকারসহ জাতীয় স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বত:স্ফুর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, এই বিপ্লবে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানকে সমর্থন করে সামরিক বাহিনী আর তাদের সাথে সাধারণ মানুষও যোগ দেয়। জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে, যিনি ‘৭১ এ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উঠিয়েছিলেন। আর সেজন্যই আমাদের জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের গুরুত্ব অপরিসীম।
আজকের এই মহান দিনে আমি দেশবাসীসহ সবাইকে আহবান জানাই-এখনও দেশে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়নি। আর সেজন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। ৫ আগষ্টের পরে দেশবাসী কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললেও এখনও অনেক কাজ বাকী রয়েছে। ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হয়নি। এখনও দেশের বিভিন্ন জনপদে বিচার বহির্ভূত হত্যায় মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। আইনী প্রতিকার থেকে অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে পদানত করার জন্য কুচক্রী মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সুতরাং যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে আমরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম সেই একই চেতনা বুকে ধারণ করে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায় ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা এবং দূর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরতরে বিদায় করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।BANI OF BNP SEC GENERAL-06-11-25
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ | |
| ওয়াক্ত | সময় |
| সুবহে সাদিক | ভোর ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ |
| সূর্যোদয় | ভোর ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ |
| যোহর | দুপুর ১:০১ অপরাহ্ণ |
| আছর | বিকাল ৪:০২ অপরাহ্ণ |
| মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২২ অপরাহ্ণ |
| এশা | রাত ৭:৪২ অপরাহ্ণ |