আজ মঙ্গলবার | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৩৩

গণসংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার বক্তব্যের শুরুর দিকে বলেন, ‘একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার।’
সংবর্ধনার জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশ থেকে যারা এই অনুষ্ঠানটি দেখছেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, প্রিয় মা ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ প্রথমেই আমি রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজার লক্ষ কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে চাই। তার অসীম রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের দোয়ায়, আপনাদের ভালোবাসায়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি একাত্তর সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। একইভাবে পঁচাত্তরে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নব্বইয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল। একাত্তর সালে এই দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তেমনি ২০২৪ সালেও এদেশের ছাত্র-জনতা, সর্বস্তরের মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, গ্রাম ও শহরের নারী-পুরুষ, মাদ্রাসা ছাত্রসহ দল-মত নির্বিশেষে, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। সেদিন ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা মাথা উঁচু করে বাঁচতে। সকলে মিলে দেশ গড়তে হবে। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, তেমনি সমতলের মানুষ আছে। এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আমরা চাই সকলে মিলে একসঙ্গে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যে বাংলাদেশে একজন মা স্বপ্ন দেখতে পারেন। অর্থাৎ, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘এই দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, চার কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য, প্রায় পাঁচ কোটির মতো শিশু, চল্লিশ লক্ষের মতো প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন। প্রায় এক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছেন। এই মানুষগুলোর রাষ্ট্রের কাছে একটি প্রত্যাশা আছে, একটি আকাঙ্ক্ষা আছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যদি সকলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, তাহলে ইনশাআল্লাহ এই লক্ষ-কোটি মানুষের সেই প্রত্যাশাগুলো আমরা পূরণ করতে পারি।’
তারেক রহমান বলেন, ‘একাত্তর সালে আমাদের শহীদরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বিগত পনেরো বছরে হাজার হাজার মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই নয় নিরীহ সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জীবন দিয়েছে। ২০২৪ সালে আমরা সেই ভয়াবহ দিনগুলো নিজের চোখে দেখেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। কয়েক দিন আগে এই বাংলাদেশের ২০২৪ সালের আন্দোলনের সাহসী প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন।এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ২০২৪-এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, ওসমান হাদিসহ; একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছেন; এবং বিগত স্বৈরাচারের সময় বিভিন্নভাবে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের সকলের আত্মত্যাগ আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে সকলে মিলে কাজ করব।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন আধিপত্যবাদী শক্তি ও সুবিধাভোগীরা নানা ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত রয়েছে। আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে।বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা এখানে আছেন আপনারাই আগামীর দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এই দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনাদের কাঁধেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি শক্ত গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর যাতে বাংলাদেশ একটি টেকসই ও ন্যায় ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমার সঙ্গে এই মঞ্চে বহু জাতীয় নেতা ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত আছেন। মঞ্চে যারা আছেন, মঞ্চের বাইরে যারা আছেন আমরা সবাই মিলে এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশিত সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যেকোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর ও শান্ত থাকতে হবে। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই, আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই, আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই। আমি আপনাদের সামনে বলতে চাই, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আমি বলতে চাই ‘ I have a plan for the people of my country, for my country. এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।
যদি সেই প্ল্যান, সেই কার্যক্রম, সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয় এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এবং সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যত মানুষ অবস্থান করছেন প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন ইনশাআল্লাহ আমরা এই “ও যধাব ধ ঢ়ষধহ” বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব। আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে আসি। চলুন, আমরা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি।
হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমতদানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী আপনি যদি আমাদের ওপর রহমত করেন, তাহলে আমরা এই দেশের মানুষের কাঙ্খিত অধিকার নিশ্চিত করতে পারব।
তিনি বলেন, আজ যদি আল্লাহর রহমত এই দেশ ও এই দেশের মানুষের পক্ষে থাকে, আল্লাহর সাহায্য ও দোয়া এই দেশের ওপর থাকে ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে অঙ্গীকার করি আগামী দিনে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবে, তারা যেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও ন্যায়নীতির আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। আপনারা জানেন এখান থেকে আমি আমার মা, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে যাচ্ছি। যে মানুষটি এই দেশের মাটি, এই দেশের মানুষকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছেন। তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে আপনারা প্রত্যক্ষভাবে সে সম্পর্কে অবগত। একজন সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমি অনুরোধ করব আজ আল্লাহর দরবারে আপনারা তাঁর জন্য দোয়া করবেন।
আজ তিনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। কিন্তু যাদের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন এই দেশের সেই মানুষগুলোর জন্যই তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। আমি কোনোভাবেই চাই না, সেই মানুষগুলো অনিরাপদ থাকুক।
সেজন্যই আজ হাসপাতালে যাওয়ার আগে, আপনাদের প্রতি এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে যারা আমাকে দেখছেন আপনাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য আজ আমি এখানে দাঁড়িয়েছি। আসুন আমরা সবাই নিশ্চিত করি আমরা যে কোনো শ্রেণির মানুষ হই, আমরা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হই, অথবা আমরা নির্দলীয় ব্যক্তি হই যে কোনো মূল্যে আমরা এই দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখব। যে কোনো মূল্যে আমরা অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা রুখে দাঁড়াব। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক যে কোনো বয়স, যে কোনো শ্রেণি, যে কোনো পেশা, যে কোনো ধর্মের মানুষ সবাই যেন নিরাপদে থাকতে পারে। এই অধিকারই আমাদের চাওয়া। আজ এই চাওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। আসুন, সামনে এগিয়ে যাই।
এর আগে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। এরপর বক্তব্য রাখেন দলটির মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩০০ ফিটে সমাবেশস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান লেখা বাসে করে যাচ্ছেন তিনি। গাড়িটিকে নিরাপত্তা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এপিবিএন ও তার নিজস্ব নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা। এদিকে এয়ারপোর্ট রোডের দুই পাশে বিপুল সংখ্যক মানুষ অবস্থান নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাতে। তারা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা রয়েছে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার শারীরিক অবস্থারও খোঁজখবর নেন। সেইসঙ্গে সরকারের দেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সস্তুষ্ট হয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এ সংক্রান্ত ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন। বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এসে সামনের বাগানে খালি পায়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তারেক রহমান। এ সময় একমুঠো মাটি হাতে তুলে নেন তিনি। এরপর ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান লেখা বাসে সংবর্ধনা মঞ্চের দিয়ে রওনা দেন তারেক রহমান।

দেশে ফিরেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পোষা বিড়াল জেবু। বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে জেবুর একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশানে লেখা হয়, দেশে ফিরেছে জেবু।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানান তাঁর শাশুড়ি। তারেক রহমানের ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরণ করে নেন শাশুড়ি।এ সময় তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ৩৯ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাস প্রমুখ।
এদিকে তারেক রহমান ও তার পরিবারকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এর আগে তাকে বহনকারী বিমানটি গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টার দিকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ৫৬ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখেন তারেক রহমান। সেখান থেকে বেলা ১১টা ১১ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

এদিকে দলের কাণ্ডারিকে বরণ করতে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ফেরার দিনটিকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশের আয়োজন করছে দলটি। রাজধানীর তিনশ’ ফিট সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিমানবন্দরে নেমে সংবর্ধনাস্থলে আসবেন তারেক রহমান। সেখানে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। ইতিমধ্যে সমাবেশস্থল লাখো নেতাকর্মীর ভিড়ে মুখরিত।
সংবর্ধনাস্থল থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। এরপরই গুলশান এভিনিউ’র ১৯৬ নম্বর বাড়িতে ওঠার কথা রয়েছে তারেক রহমানের।
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ | |
| ওয়াক্ত | সময় |
| সুবহে সাদিক | ভোর ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ |
| সূর্যোদয় | ভোর ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ |
| যোহর | দুপুর ১:০১ অপরাহ্ণ |
| আছর | বিকাল ৪:০২ অপরাহ্ণ |
| মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২২ অপরাহ্ণ |
| এশা | রাত ৭:৪২ অপরাহ্ণ |