আজ বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি | দুপুর ১২:১১
শ্রীলঙ্কা নিজ প্রয়োজনে চীন ও ভারত উভয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা নিয়েছে। প্রায় একইভাবে ভারত ও চীন উভয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সমর্থন নিয়েছে বাংলাদেশও। গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য আর্মি ইউনিভার্সিটি’তে ‘কালচারাল এন্ড এরিয়া স্টাডিজ অফিস’ এর প্যানেল আলোচনায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে লেফটেন্যান্ট কর্নেল নেইথান মুর এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও চীনের বর্ধিত প্রতিযোগিতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বলেন, “আমরা যখন আমেরিকান দৃষ্টিতে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে তাকাই, তখন এই প্রতিযোগিতাটি সত্যিই ভারত এবং পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না) এর মধ্যে।”
মুর তার আলোচনায় বলেন, ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন কৌশলকে প্রায়শই এই এলাকায় (দক্ষিণ এশিয়ায়) প্রধান শক্তির উপর অত্যধিক জোর দেওয়া বা অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য উপহাস করা হয়। এই অঞ্চলে ভারত ও চীনের প্রভাবকে “ঋণের ফাঁদ” দিয়ে দেখা যায়। যেমন শ্রীলঙ্কা নিজ প্রয়োজনে চীন ও ভারত উভয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা নিয়েছে।
মুর বলেন, “বাংলাদেশও প্রায় একই রকম। ভারত ও চীন উভয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সমর্থন নিয়েছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সমর্থন সহ এ সব ‘পোলারাইজিং পাওয়ার’দের কাছ থেকে সমর্থন গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রেখেছে বলে মনে হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ভূমিকা নিয়ে মুর বলেন, চীন এ অঞ্চলে নতুন প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। “ব্যবহারিক দিক থেকে, চীনের সহায়তায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে যাতে আলো জ্বলে। কিন্তু, চীন বাংলাদেশে বার্মা ও দেশটির মধ্যে শান্তি স্থাপনকারী হিসেবে প্রবেশ করেছে।”
মুর এই অঞ্চলে বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতায় নেপাল এবং ভুটানের অবস্থা ব্যাখ্যা করে বলেন, দেশগুলোর অস্থিতিশীল সরকারসমূহ “চীনাদের ভূমি দখলের” উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করে। তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল আমাদের বিষয়ে নয়।
আমরাও এটার মধ্যে ঢুকছি। আমাদের এটির সাথে ভালভাবে ফিট করা দরকার৷ তবে, ভারত নম্র প্রতিবেশী নয়। আমরা যে গণতান্ত্রিক পয়েন্টগুলো উপস্থাপন করি তা ভারতে সবসময় একইভাবে সত্য হয় না।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 4:03 AM |
Sunrise | 5:24 AM |
Zuhr | 11:55 AM |
Asr | 3:21 PM |
Magrib | 6:27 PM |
Isha | 7:48 PM |