১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বর্বর ঘৃণ্য হামলা চালিয়ে গণহত্যা শুরু করে। তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের দিকনির্দেশনার অভাবে পাক বাহিনীর গণহত্যা ও প্রচণ্ড নির্যাতনের মুখে জাতি যখন হতাশ ও বিভ্রান্ত, ঠিক তখনই আশার আলোকবর্তিকা হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন সে দিনের মেজর জিয়াউর রহমান।
নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে মেজর জিয়া জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ রাত ২টা ১৫ মিনিটেই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
“বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহিম
প্রিয় সহযোদ্ধা ভাইয়েরা,
আমি, মেজর জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মি চীফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেমেছি। আপনারা যে যা পারেন সামর্থ অনুযায়ী অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে দেশ ছাড়া করতে হবে।
ইনশাল্লাহ, বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।”
সেই দুঃসময়ে বাঙালি জাতি ছিল দিশেহারা, দিক-নির্দেশনাহীন। ঠিক এ সময়ে মেজর জিয়ার প্রত্যয়দীপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠের ঘোষণা ছিলো তূর্যধ্বনির মতো।
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু করে। এর মাধ্যমেই শুক্রবার, মার্চ ২৬, ১৯৭১, বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ।
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১২:৫৫ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:১৯ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৩১ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৮:৫৩ অপরাহ্ণ |