আজ রবিবার | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১২:১১
আশরাফুল হক রুবেল,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : রাত থেকে টানা ভারি বৃষ্টিপাত চলছে কুড়িগ্রামসহ রংপুরের ৮ জেলায়। শহরের রাস্তা-ঘাট ফসলি জমি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল হয়ে কুড়িগ্রামে পুরো শহরেরই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জনজীবনে চরম দুর্ভোগে পরেছে সাধারণ মানুষ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়,সদর থানা,জজকোর্ট,ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন,কুড়গ্রাম কালেক্টরেট স্কুল ,রাস্তাঘাট হাটু পানির নিচে।
তিস্তা, ধরলা, ব্রক্ষপুত্র, দুধকুমোরসহ জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।টানা বৃষ্টিতে বিশেষ করে বোরো ধান, ভুট্টা ক্ষেত, বাদাম ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষক।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম ও তার আশেপাশে ১০২ দশমিক ৮ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এমন বৃষ্টি আরও তিনদিন টানা চলতে পারে বলে জানান দ্বায়িত্বরত আবহাওয়াবিদ সুবল চন্দ্র। বৃষ্টির সাথে সাথে দমকা বাতাস বইছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে এ পর্যন্ত ১শ ৩১ হেক্টর জমির ধান, ভুট্টা ও বাদাম পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। শহরের জেলা প্রশাসন চল্টর,ফায়ার বিগ্রেড মোড়, হাসপাতাল পাড়া, মুনসীপাড়া, রৌমারীপাড়া, বৈশ্য পাড়া, টাপুভেলাকোপা, হরিকেশ মোড়, ভেলাকোপা এলাকা, সওদাগরপাড়ার নীচু এলাকার বাড়ি ঘরে এ পানি প্রবেশ করেছে। প্রতিটি ঘরেই এক হাঁটু পানি।
শহরের পৌরসভার ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। দেখে মনে হবে পুরো শহর পানিতে ভাসছে। শহরের বন্যা শুরু হয়েছে। জনজীবন পুরোপুরি স্থবির হয়ে পরেছে। শহরের ভেলাকোপা এলাকার সৈয়দ আলী (৭২) তার বাড়িতে এক হাঁটু পানি। ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
সওদাগর পাড়ার জাহানারা বেগম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সারারাত জেগে আছি। ঘরের মধ্যে এক হাঁটু পানি। তাদের এলাকায় সব ড্রেন বন্ধ হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এলাকায় প্রতিটি ঘরেই পানি ঢুকেছে। চরম কষ্টের মধ্যে বৃষ্টির দিন গুলো পার করছে মানুষজন।
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:১১ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১২:৫৯ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:১৭ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৪৭ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৯:১৪ অপরাহ্ণ |