আজ শুক্রবার | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি | সকাল ৬:৪৯

মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি ইউনিয়নে শতকরা ৫০ ভাগ নারী বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে। বন্যা দুর্গত, নদী ভাঙ্গন কবলিত যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি ইউনিয়ন। অশিক্ষা দারিদ্রতার কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারের মেয়েদের ১২ হতে ১৩ বছর বয়সের মধ্যেই অর্থাৎ প্রাইমারি শিক্ষা জীবন শেষ করেই বিয়ের পিরিতে বসতে হচ্ছে। যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে অনুসন্ধানে এ চিত্রই উঠে এসেছে।
২০২১ সালে প্রাইমারি পাশ করে যে সকল নারী শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ে হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। ২০২৫ সালে এসে যাদের দশম শ্রেণীতে থাকার কথা কিন্তু ভর্তির পর ওই সকল নারী শিক্ষার্থীদের অর্ধেককেই এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত বাল্য বিয়ের কারণেই ঝরে পড়েছে অর্ধেক নারী শিক্ষার্থী। যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২১ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০১ জন নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ২০২৫ সালে এসে দশম শ্রেণিতে ৪৯ জন নারী শিক্ষার্থী অবশিষ্ট রয়েছে। ৫২ জন নারী শিক্ষার্থী বাল্য বিয়ের কারণে ঝড়ে পড়েছে। পাঁচগাছি ইউনিয়নের পাঁচগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২১ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২৩ জন নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ২০২৫ সালে এসে দশম শ্রেণিতে মাত্র ১৩ জন নারী শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা যায়। পাঁচগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝড়ে পড়া নারী শিক্ষার্থী মূলত বাল্য বিয়ের কারণেই পড়ালেখা বন্ধ হয়েছে শিক্ষার্থীদের বান্ধবিরা জানায়।
যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গফুর জানায় , অশিক্ষা দারিদ্রতার কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারের মেয়েদের বাল্য বিয়ের শিকার হতে হচ্ছে। পাঁচগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন সরকার জানায়, স্থানীয় নিকাহ রেজিস্টারদের যোগসাজোসে গোপনে বাল্য বিয়ে হচ্ছে।
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ | |
| ওয়াক্ত | সময় |
| সুবহে সাদিক | ভোর ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ |
| সূর্যোদয় | ভোর ৭:০০ পূর্বাহ্ণ |
| যোহর | দুপুর ১২:৪৩ অপরাহ্ণ |
| আছর | বিকাল ৩:৫৯ অপরাহ্ণ |
| মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২৫ অপরাহ্ণ |
| এশা | রাত ৭:৪১ অপরাহ্ণ |