আজ শুক্রবার | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি | দুপুর ১২:৫৫

মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় খুব অল্প সময়ে আধুনিক ও সুসজ্জিত ভাবে প্রাণি সম্পদ দপ্তরকে সাজিয়ে সব মহলে প্রশংসা অর্জন করেছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান দীর্ঘ সময়ে কুড়িগ্রাম জেলা সদরে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর পদোন্নতির মাধ্যমে অন্যত্র বদলী এবং পরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান দায়িত্ব নেন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব নেয়ার পর সবকিছুকে আন্তরিক ভাবে সেবার উপযোগী করে গড়ে তুলতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসটি সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিক ও সুসজ্জিত রুপে সেজেছে। বিভিন্ন কক্ষে টাইলস এর কাজ করা থেকে শুরু করে রঙের কাজের মাধ্যমে ভবনটিকে সুন্দর পরিপাটি করে গড়ে তোলা হয়েছে। অফিসের প্রতিটি কক্ষে আধুনিক সাজে ফার্নিচার সংযোজন এবং সাধারণ মানুষকে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি পরীক্ষাগারে সংযোজন হওয়ায় গবাদি পশুর যে কোন রোগবালাই পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা সহজ হয়ে পড়েছে। জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমানের সুদৃষ্টির কারণে সেবার মান বৃদ্ধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট। প্রতিদিন এই দপ্তর থেকে উন্নত পদ্ধতিতে গবাদি পশু ও হাস মুরগি পালনে লাগসই প্রযুক্তি নির্ভর পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। খামার/ কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট পরিদর্শন এবং কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খামার স্থাপনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করণের লক্ষ্যে প্রদর্শনীর আয়োজন সহ দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরী সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। গবাদি পশুর রোগবালাই নির্মুলে টিকাদান কার্যক্রম সবমহলে প্রশংসা অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে গবাদি পশুর লাম্পি ভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়টি যতœ সহকারে নির্মুল করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান জানায়, কুড়িগ্রাম জেলায় বর্তমানে গবাদি পশুর লাম্পি ভাইরাস রোগের প্রার্দুভাব খুবই কম। কিছুদিন আগে এটি মারাত্মক আকারে দেখা দিলেও টিকা আবিস্কার এবং চিকিৎসার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়ে লাম্পি ভাইরাস প্রতিরোধে খামারীদের পরামর্শ দিয়ে এ রোগের প্রার্দুভাব কমিয়ে এনেছি। মূলত স্যাতস্যাতে অপরিচ্ছন্ন এবং আলো-ছায়া বদ্ধ পরিবেশে লাম্পি ভাইরাসের আক্রমণ হয়। মসা-মাছি ও পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করে আলো-ছায়াযুক্ত জায়গায় গবাদি পশু পালন করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার গবাদিপশুকে দিতে হবে। যে কোন প্রয়োজনে খামারীরা আমাদের কাছে আসলে আমরা প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ দিতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছি।
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ | |
| ওয়াক্ত | সময় |
| সুবহে সাদিক | ভোর ৬:১১ পূর্বাহ্ণ |
| সূর্যোদয় | ভোর ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ |
| যোহর | দুপুর ১২:৫২ অপরাহ্ণ |
| আছর | বিকাল ৩:৫৩ অপরাহ্ণ |
| মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:১৩ অপরাহ্ণ |
| এশা | রাত ৭:৩৪ অপরাহ্ণ |