আজ শুক্রবার | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি | রাত ৩:০৬
এস.এম ফারহান লাবিব : সাংবাদিকতা ও রাজনীতির দীর্ঘ সংগ্রামকে যারা বুকে লালন করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম নিবেদিত নেতৃত্বের প্রতীক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন। জন্মভূমি বগুড়ার মাটিতে বেড়ে ওঠা এই মানুষটি বহু বছর ধরে সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা এবং রাজনীতির মিশ্রধারায় নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিএনপির আন্দোলনের প্রতিটি বাঁকে তার ভূমিকা যেমন স্পষ্ট, তেমনি গণমানুষের স্বার্থে সাংবাদিকতার কলমও ছিল তার নিরন্তর অস্ত্র। সাংবাদিকতার মঞ্চে থেকেও রাজনৈতিক চেতনা ও জনকল্যাণের জন্য অবিরাম ভূমিকা রেখে আসা এই মানুষটি আজ বিএনপির প্রতিটি কর্মীর কাছে আত্মার অংশ হিসেবে সমাদৃত।
১৯৯০ সাল থেকে ষড়যন্ত্রকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আগামী দিনের সরকার প্রধান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশে, জেলার অজপাড়া গ্রাম থেকে শহরের অলিগলি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসহায় মানুষদের দ্বারে দ্বারে আতিকুর রহমান রুমনের সরব উপস্থিতি দেখেছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ প্রায় ১৭টি বছর চোখের সামনে প্রিয় দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতিত হতে দেখেও হাল ছাড়েননি তিনি। প্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমানের মায়ায় সিক্ত রুমন হিমালয়ের ন্যায় অটল অবস্থান থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছেন সকল প্রতিকূলতার।
প্রকাশ করা যায়, ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশপরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারগুলো প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারি চাকরিতে ৫৬% কোটা সংস্কার দাবিতে বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বামদলীয় জোট সরকার ও দেশছাড়া দলটির এমপি-মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী নেতাকর্মী। দেশছাড়া আওয়ামী লীগ নামক জগদ্দল পাথরের দুঃশাসনে ক্ষত-বিক্ষত দেশের হাজার হাজার মানুষ। সীমাহীন গুম, খুন, অপহরণ ও নির্মম নির্যাতনে নির্যাতিত সকল সাধারণ মানুষ, যা বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার গঠন, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাঠিচার্জ ও গুলি, ছাত্রদল-যুবদলের ওপর দমন সবই ছিল ইতিহাসের নৃশংস অধ্যায়। এতো এতো নির্যাতন-নিপীড়ন কোন কিছুই যেন গায়ে মাখেননি রুমন।
বর্তমানে আতিকুর রহমান রুমন জাতীয় “দৈনিক দিনকাল” পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক, বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য এবং “আমরা বিএনপি পরিবার”- নামে মানবিক ও সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনটি গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারসহ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি বগুড়ার সদর উপজেলার সাবগ্রাম এলাকায় ভয়াবহ আগুনে ঘরবাড়ি ও মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে সম্পূর্ণভাবে অসহায় হয়ে পড়ে তিন-তিনটি পরিবার। পরবর্তীতে খবরটি পেয়ে আতিকুর রহমান রুমন ও তার নেতৃত্বাধীন “আমরা বিএনপি পরিবার” বেড়িয়ে পড়েন জনপ্রয়োজনে। তিনি সরাসরি তাদের দুর্দশা বোঝেন, পাশে দাঁড়ান এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন, যা স্থানীয়দের চোখে এক অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
২০২৪ সালের ২২ মার্চ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় গঠিত হয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলটি। আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ শুধুমাত্র রাজনৈতিক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং তারা নিজ হাতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান, তাদের কষ্ট বোঝেন এবং পূর্ণ সহায়তা দিয়ে মানুষের জীবনে সত্যিকারের পরিবর্তন ও আশার সৃষ্টি করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ মে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসুলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া আতিকুর রহমান তার নিরলস নেতৃত্বেই আজ বিএনপি’র এক নিবেদিতপ্রাণ নেতা, সাংবাদিক ও সমাজসেবক হিসেবে সুপরিচিত। তারা তিন বোন, চার ভাই। পিতা মরহুম হাফিজুর রহমান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী ও সমাজসেবক। মাতা মরহুমা ফেরদৌসী বেগম ছিলেন গৃহিণী ও এফ. এইচ. ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, যিনি ছিলেন দানশীলতার জন্য ভীষণ পরিচিত। রুমনের শিক্ষাজীবন শুরু হয় উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে এবং ঠিক সেখান থেকেই ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি হাতেখড়ি হয় সাংবাদিকতার।
সাংবাদিকতা জীবনে ১৯৯৩ সালে বগুড়া থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক আজ ও আগামীকাল” পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে যোগ দেন দৈনিক দিনকাল পত্রিকায়। সেখানে বগুড়া ব্যুরো প্রধান, পরে ঢাকা অফিসে নিজস্ব প্রতিবেদক, সিনিয়র প্রতিবেদক এবং বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি অনলাইন নিউজপোর্টাল “বিডি প্রেস ডটনেট” – এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন । সাংবাদিকতার সুবাদে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েল্স্ , তুরস্ক, কাতার, আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, চীন, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভূটানসহ নানা দেশ সফর করেছেন তিনি। বর্তমানে তার স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা জাজিয়া রহমানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন।
দলীয় সহকর্মীরা মনে করেন, আতিকুর রহমান রুমন শুধু একজন নেতা বা সাংবাদিক নন, বরং তিনি বিএনপি’র প্রতিটি কর্মীর আত্মার অংশ, যিনি রাজনৈতিক সংগ্রাম, সাংবাদিকতা এবং মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের জীবনে মানবিকতার ব্যাপক প্রভাব ফেলেছেন।
ফ্যাসিস্ট শাসনামলের দীর্ঘ সময়টিতে নানা ভাবে নিজ উদ্যোগেও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আজও পূর্বের ন্যায় দেশকে এগিয়ে নিতে প্রিয় নেতার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে স্ব স্ব অসহায় পরিবারের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। যার ধারাবাহিকতায় বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আতিকুর রহমান রুমনের ত্যাগ ও সংগ্রামকে ঘিরে রাজপথে আজও ধ্বনিত সেই স্লোগান—
“দুর্দিনের রুমন ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই।”
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১২:৪৩ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:০০ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২৬ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৭:৪২ অপরাহ্ণ |