আজ শনিবার | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি | দুপুর ২:২৭

স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি, অত্র ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে আয়েশা আক্তার নামের নামে মহিলার। মা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের অধ্যানে ভিডাব্লিউড কার্ডের মাসে ৩০ কেজি চাল করে, মোট ৩ মাসে মাসের উত্তোলন করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে আয়শা আক্তার ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার জানান ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খান ভিডাব্লিউড কার্ডের মাধ্যমে মাসে ৩০ কেজি চালের কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি’র কাছে। গত জুন মাসের আমার কার্ড হয় শুনলাম,জুলাই মাস থেকে চাল দেওয়া শুরু হলে ও আমার হাতে কার্ড পায় না।বারবার ইউনিয়ন পরিষদ খোঁজ নেওয়ার পর জানতে আমার নামে কার্ড কিন্তু কার্ডের মধ্যে অন্য মহিলার ছবি। খোঁজ নিয়ে আরো জানতে আমার নামে কার্ড রিচিব করেছেন৷ ফারুক আহমেদ মিয়াজি। পরবর্তীতে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খানের সহযোগিতায় কার্ড পেরত পাই ৩ মাস পর। কিন্তু ৩ মাসের চাল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি তার লোক দ্বারা চাল নিয়ে যায়। সেই ৩ মাসের চাল পেরত পাওয়ার জন্য আমি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খানের বরাবর লিখিত জানাই।
ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের মাঝে অসহায়দের দেওয়ার জন্য ১৯ টি কার্ড দেন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন মোহাম্মদ রাজন। আমার ওয়ার্ডে অসহায় একটি পরিবার দেওয়ার জন্য আমি একটি কার্ড এনে আয়শা আক্তার কে দেই,অনলাইন করার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি’র কাছে দিতে বলি।কার্ড হলে ও আয়শা আক্তার ৩ মাসের চাল পায় না।পরবর্তীতে আমরা ভিবিন্ন ভাবে এই কার্ড উদ্ধার করে আয়শা আক্তার কে চালের কার্ড পৌঁছে দেই।আয়শা আক্তারের লিখিত অভিযোগের ব্যাপারের বলেন লিখিত অভিযোগে যা লিখছে তা সত্য।
ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসাইন বলেন ১৯ টি কার্ডের মধ্যে আমার এলাকায় দেওয়ার জন্য আমি একটি কার্ড এনেছি,প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি’র কাছে জমা দিলেও সে কার্ড আর পাওয়া যায়নি, ওনি দেখবেন,দেখতেছি বলতে বলতে ৪ মাস চলে গেলো।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহমেদ খন্দকার বলেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১৯ টি কার্ড দেওয়া হয়, কার্ড গুলো ফারুক আহমেদ মিয়াজি’র কাছে ছিল। আমরা ভিবিন্ন ওয়ার্ডে এই ১৯ টি কার্ড ভাগ করে দেই।সেখান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খান একটি পরিবারের জন্য ফারুক আহমেদ মিয়াজি’র কাছে জমা দিলো, কিন্তু কার্ড হওয়ার পরে আয়শা আক্তার কার্ড না পেয়ে আমার জানান,পরবর্তীতে আমরা তিন মাস এই কার্ড উদ্ধার করি।১৯ টি কার্ড হওয়ার পরেই কর্ডগুলো রিচিব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। রিচিব করার করার যার মাধ্যমে যে কার্ড আছে তাকে পৌঁছে দেওয়ার কথা। তার মধ্যে সাহাপুর এবং দক্ষিণ কড়ৈতলীর ২ টি কার্ড না পাওয়ায়, আমরা কার্ডগুলো উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করে আয়শা আক্তারের কার্ড উদ্ধার করতে পারলেও কড়ৈতলীর রেহানা নামের কার্ড খোঁজে পাওয়া যায়নি।১৯ টি কার্ডের সকল কাগজ পত্র ও কার্ড রিচিব করা ফারুক আহমেদ মিয়াজি’র উপর দায়িত্ব ছিল।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি বলেন আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে,এই সকল ব্যাপারে কিছুই জানি না।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন মোহাম্মদ রাজন বলেন ভিডব্লিউড কার্ড পরিষদ গত মে মাসে কার্ড এসেছে ১২২ টি।সেখান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর কাছে ১৯ টি কার্ডের তাদের নাম দিতে বলি। ওনারা যে নাম দিছে তাদের নামে কার্ড হয়েছে। তারা কি করছে কার্ড সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার বলেন বিষয়টি মাত্র শুনছি,তদন্ত করে ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ | |
| ওয়াক্ত | সময় |
| সুবহে সাদিক | ভোর ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ |
| সূর্যোদয় | ভোর ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ |
| যোহর | দুপুর ১২:৪৩ অপরাহ্ণ |
| আছর | বিকাল ৩:৫১ অপরাহ্ণ |
| মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:১৩ অপরাহ্ণ |
| এশা | রাত ৭:৩১ অপরাহ্ণ |