আজ শনিবার | ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৮ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৪৫
বিডি দিনকাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ওপর সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণের সংবাদকে ‘দেশের জন্য ভালো খবর’ অভিহিতি করে এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সাদুবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার ১ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে আমির কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির মাননীয় মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ আজকে একটা ভালো খবর আছে… কয়েকদিন আগে আপনারা দেখেছেন যে আমেরিকা আমাদের পণ্যের ওপর ট্যারিফ আরোপ করেছে। ট্যারিফ কী জানেন? আমরা যেসব পণ্য রপ্তানি করবো তার ওপরে ৩৫ ভাগ ট্যাক্স নিয়ে নিবে। অর্থাৎ আমাদের যে জিনিসটার দাম ৫০ টাকা ওটার সাথে আরো ৩৫ টাকার যোগ হবে… তার মানে ১০০ টাকার জিনিস ১৩৫ টাকা দাম হবে। ফলে আমাদের জিনিসটা আর বিক্রি হবে না।”
‘‘ ওটাকে(যুক্তরাষ্ট্র ট্যারিফ) আমাদের পররাষ্ট্র দফতর এবং উপদেষ্টারা আলোচনা করে কমিয়ে ২০% পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। সেজন্য আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা একটা বড় দায়িত্ব পালন করেছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আমাদের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে.. অনেকে অনেক কথা বলেন…. অনেক ভুল আছে, ত্রুটি আ্ছে, অভিজ্ঞতা নাই বেশি। আমি আশা করেছিলাম যে, এক বছরের মধ্যে আমাদের যারা শহীদ হয়েছে প্রকৃত তালিকা করে তাদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। দুর্ভাগ্য তারা পুরোটা করতে পারেনি।কিন্তু তারা চেষ্টা করছে।”
‘‘ গতকালই এই যে সংস্কারের যে বৈঠক সেই বৈঠকে গতকালই এই যে সংস্কারের যে বৈঠক সে বৈঠক গতকাল শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি, দুই একদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসবে।”
‘নির্বাচন প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ সব চেয়ে বড় ক্রাইসিস হচ্ছে যে ঘোষণা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন যে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে… তাই না। এই নির্বাচনটা আমরা চাই, দেশের মানুষ চায়, দেশের মানুষ একটা নির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনা করতে চায়।”
‘‘ আমার তো যাওয়ারই জায়গা নাই। এখন আমার কোন সমস্যা হলো আমি কার কাছে যাবো? কোন এমপি নাই তো? আছে? তাহলে আমি যাব কার কাছে।আমার সমস্যাটা পার্লামেন্টে কে তুলে ধরবে? লোক নাই। কে পার্লামেন্টে আমার দাবি নিয়ে কথা বলবে? লোক নাই। এইজন্যই আমাদের দ্রুত নির্বাচন দরকার, খুব দ্রুত পার্লামেন্ট দরকার।যে পার্লামেন্টে আমরা আমাদের কথাগুলো বলতে পারব।”
‘লুটেরাদের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা একটা বিরাট একটা ভয়ঙ্কর একটা ফ্যাসীবাদের হাত থেকে আমরা আপাতত মুক্তি পেয়েছি। এই মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে যখন তাদেরকে আমরা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারব।”
‘‘ যারা লুটপাট করে, যারা ব্যাংক লুট করে, যারা চাঁদাবাজী করে, যারা মানুষের সম্পত্তি দখল করে নিয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রকমের আপোষ থাকবে না। তাদেরকে আমরা কখনোই স্বীকার করবো না এবং তাদেরকে আমরা কোন মতেই সামনে আসতে দেবো না।”
‘অপেক্ষা করছি, কবে তারেক রহমান দেশে আসবেন’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার উপরে যে আস্থা রেখেছিল জনগণ একইভাবে আজকে তারা তারেক রহমান সাহেবের উপর আস্থা রাখছে।”
‘‘ অপেক্ষা করছি, কবে তারেক রহমান সাহেব দেশে আসবেন। কবে নেতৃত্ব দেবেন? আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, যে তারেক রহমান সাহেব অতি দ্রুত দেশে আসেন আমাদেরকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দেন সেটাই আমাদের কামনা।
তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বারবার প্রতিদিন কথা বলছেন। প্রতিদিন তিনি বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছেন… তিনি বলছেন যে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করবো। যে বাংলাদেশে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে, যে বাংলাদেশে মানুষ ভোট দিতে পারবে, যে বাংলাদেশে সাধারণ গরীব মানুষ সে গরীব থাকবে না, আস্তে আস্তে সে উন্নতির দিকে যাবে এবং বারবার করে বলেছেন যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
আগামীতে তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রান্তিক মানুষের জন্য ‘ফার্মাস কার্ড’, ‘স্বাস্থ্য কার্ড’, ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ইত্যাদি যেসব পরিকল্পনা নিয়েছেন তার কথাও বলেন বিএনপি মহাসচিব।
এক বছর আগে এই দিনে উত্তরা উত্তাল হয়েছিলে উল্লেখ করে ফ্যাসিবাদী পতনের আন্দোলনের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের শহীদদের পরিবারের বেদনা-কষ্টের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
আগামী ডিসেম্বর কিংবা ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
তিনি বলেন, “সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি চক্র -আল বদর বাহিনী – দেশের ভেতরে সংস্কারের নামে ও বিচারের নামে ফ্যাসিবাদকে উস্কে দিচ্ছে এবং নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকে আর সফল হতে দেব না। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ, আমরা ঐক্যবদ্ধ।”
আমিনুল হক বলেন, “আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানানো হবে।”
এবিএমএ আবদুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি পালন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল আলম নিরব, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, যুব দলের নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজিব আহসান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, জাসাসের হেলাল খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর , এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন সহ শহীদদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১:০৫ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:২৯ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৭:৪১ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৯:০৩ অপরাহ্ণ |