আজ শুক্রবার | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি | রাত ৪:০০
শুক্রবার ঢাকার টিআইবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত নির্বাচনী সংবাদ প্রতিবেদন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের অবহিত করার যে বাধ্যবাধকতা বা শর্ত রাখা হয়েছে, সেটি হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এ বাধা অপসারণ করা দরকার। তবে, সেটি না হলেও সাংবাদিকদের নিজেদের অবস্থান থেকে, আইন ও নীতিমালার মধ্যে থেকে, সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হলেও প্রত্যাশিত সংস্কার এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ২৩শে জুলাই গণমাধ্যম নীতিমালা জারি করে নির্বাচন কমিশন। গণমাধ্যম নীতিমালার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারা বিগত সরকারের সময় গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংযোজনের অভিযোগ রয়েছে। বিতর্কিত সেসব ধারার কয়েকটি বর্তমান কমিশনও বহাল রেখেছে। নীতিমালায় ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপন কক্ষের ভেতরে ছবি তোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ বাধা অপসারণ করা না হলে সাংবাদিকদের নিজেদের অবস্থান থেকে, আইন ও নীতিমালার মধ্যে থেকে, সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না চায়, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কঠিন হবে। এজন্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি। আমাদের অবকাঠামো বলতে গভর্নেন্সের সুশাসন ও জবাবদিহিতা, সরকার ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, সততা, শুদ্ধাচার, সত্যচার, ট্রান্সপারেন্সি ও একাউন্টেবিলিটি- এসবকে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে দাঁড় করানো হয়েছে। এটা শুধু গত ১৬ বছরের নয়, প্রায় ৫৪ বছর ধরেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে দ্বিগুণ দলীয় প্রভাবের মধ্যে আনা হয়েছে, পেশাগত বিরোধ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেগুলোকে কখনো কার্যকর করা হয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রেই অকার্যকর করে রাখা হয়েছে।
টিআইবি নির্বাহী বলেন, পতিত সরকারের এজেন্ট বা সহযোগীরা প্রশাসন ও আইন সংস্থায় নেই- এটা বলা যাবে না। প্রশাসনে এখনো কিছু কর্মকর্তা আছেন যারা নিরপেক্ষ থেকে পেশাগতভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখন তিন ধরনের শক্তি সক্রিয়। একদলীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী, প্রতিস্থাপিত দলীয় গোষ্ঠী এবং নিরপেক্ষ থাকতে চাওয়া একটি ছোট পেশাজীবী গোষ্ঠী। নির্বাচন এই টানাপড়েনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হঠাৎ করে পুরো প্রশাসন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সময় নিয়ে, ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা ও পেশাদারি গড়ে তুলতে হবে। সংস্কার কমিশনগুলোর দেয়া সুপারিশ এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অল্প কিছু অগ্রগতি হলেও তা যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, এসব দুর্বলতা মাথায় রেখেই সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে। কোথায় আইন প্রয়োগ হচ্ছে, কোথায় ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে এবং কোথায় ব্যর্থতা ঘটছে- সেগুলো তুলে ধরা সাংবাদিকদের দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ |
যোহর | দুপুর ১২:৪৩ অপরাহ্ণ |
আছর | বিকাল ৪:০০ অপরাহ্ণ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২৬ অপরাহ্ণ |
এশা | রাত ৭:৪২ অপরাহ্ণ |